ব্রাজিলের দাঙ্গাকবলিত সরকারি ভবনগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ৮ জানুয়ারির দাঙ্গায় জড়িত থাকায় ৩৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে।
স্থানীয় সময় গত সোমবার রাজধানী ব্রাসিলিয়ার ডিস্ট্রিক্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা কংগ্রেস ও সুপ্রিম কোর্ট ভবন, মন্ত্রীদের দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি ভবনগুলোয় নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর সেলিনা লিয়াও এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দাঙ্গার পর এসব ভবনের নিরাপত্তায় ২৪৮ জন সামরিক–পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্য কাজ করছিলেন। গত সোমবার থেকে এ সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০০ করা হয়েছে। টেকসই শান্তির জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
একই সংবাদ সম্মেলনে ব্রাজিলের বিচারমন্ত্রী রিকার্ডো কাপ্পেল্লি জানান, দাঙ্গাকারীরা পেশাদার ছিলেন কি না, তাঁরা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করছিলেন কি না—এসব বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ব্রাজিলের সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর হাজারো উগ্র সমর্থক ৮ জানুয়ারি দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ও কংগ্রেস ভবন এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে তাণ্ডব চালান। তাঁদের দাবি, এবারের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল। বলসোনারোর জয় ছিনিয়ে নিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন লুলা দা সিলভা। তাই সামরিক অভ্যুত্থানের আহ্বান জানিয়ে তাঁরা কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানী ব্রাসিলিয়া ও এর বাইরে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান নেন। পরে পুলিশি অভিযানে তাঁদের হটিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় গত সোমবার ৩৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড যুক্ত থাকার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এনেছে ব্রাজিলের পাবলিক প্রসিকিউটর। অ্যাটর্নি জেনারেল অগাস্তো আরাস এই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ৭৭ লাখ ডলার মূল্যমানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন, আমরা এ ধরনের কাজের পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না।’