ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো জালিয়াতি করে নিজের করোনার টিকার সনদ তৈরি করিয়েছিলেন। দেশটির পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানা গেছে। তাই এখন সনদ জালিয়াতির জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলসোনারোকে।
বলসোনারোর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নিয়ে গত বছর তদন্ত শুরু করেছিল ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, করোনার টিকার সনদ জাল করার জন্য বলসোনারোকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
২০২২ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে হেরে যান বলসোনারো। ক্ষমতা ছাড়ার পর একাধিক আইনি জটিলতায় পড়েন তিনি। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হতে যাচ্ছে করোনার টিকার সনদ সংক্রান্ত মামলা।
বলসোনারো আগে বলেছিলেন, তিনি করোনার টিকা নেননি। এমনকি করোনার টিকাবিরোধী হিসেবেও তিনি পরিচিত ছিলেন। তবে তদন্তে জানা গেছে, বলসোনারো তাঁর কর্মকর্তাদের টিকার ভুয়া সনদ বানাতে বলেছিলেন, যাতে তিনি নির্বিঘ্নে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন।
২৩১ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে বলসোনারো ও ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কারাগারে যেতে হতে পারে ৬৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে।
তবে এখন বলসোনারোর বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ গঠন করা হবে, সেই দায়ভার ব্রাজিলের অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরের।
বলসোনারোর আইনজীবীরা বলছেন, নিজের কোনো উপদেষ্টা করোনার টিকার সনদ জাল করেছেন, এমন কিছুই জানতেন না বলসোনারো। দাবি করা হয়েছে, কেউ নিজ উদ্যোগে এটা করে থাকতে পারেন।