ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর পাসপোর্ট জমা নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার পাসপোর্ট জমা নেওয়া হয়েছে কট্টর ডানপন্থী এই নেতার।
গত বছরের জানুয়ারিতে ব্রাজিলের বিভিন্ন সরকারি ভবনে সমর্থকদের দিয়ে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় বলসোনারো ও তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালায় দেশটির পুলিশ।
দেশটির ফেডারেল পুলিশ জানিয়েছে, তারা ৩৩টি তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাঁদের সবার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান চেষ্টার অপরাধে তদন্ত চলছিল। মূলত ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, পার্লামেন্ট ও সুপ্রিম কোর্ট ভবনে বলসোনারোর সমর্থকদের তাণ্ডবের কারণে তল্লাশি অভিযান-পরোয়ানার এসব ঘটনা।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরায়েস এসব তল্লাশি অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি সন্দেহভাজন কয়েকজনকে সরকারি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
এ ছাড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পাসপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন বিচারপতি আলেকজান্দ্রে। এরপরই বলসোনারোর পাসপোর্ট জমা নেওয়া হয়।
বলসোনারোর আইনজীবী ও উপদেষ্টা ফাবিও ওয়াজনগার্তেন এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে জানান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও ডানপন্থী রাজনীতিক জইর বলসোনারোর পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
যদিও বলসোনারো বরাবর তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর মতে, ঘটনার সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। হামলায় তিনি জড়িত নন। ফোলহা দে সাও পাওলো সংবাদপত্রের সাংবাদিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলসোনারো বলেন, তিনি ‘অবিরাম নিপীড়নের’ শিকার হচ্ছেন।
চারজন সাবেক জেনারেলের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বলসোনারোর আমলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ওয়াল্টার বারগা নেত্তো ও বলসোনারোর উপদেষ্টা অগাস্তো হেলেনো। এ ছাড়া বলসোনারোর লিবারেল পার্টির (পিএল) প্রধান ভ্লাদিমির কস্তা নেতোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে।
এদিকে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, এসব অভিযানে এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন সেনা কর্মকর্তা। অন্যজন ফিলিপ মার্টিনস। তিনি বলসোনারোর আন্তর্জাতিকবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা।