কলম্বিয়ার গোয়েন্দাপ্রধান ও প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রর ঘনিষ্ঠ কার্লোস র্যামন গঞ্জালেস পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে দ্রুত বিল পাস করাতে আইনপ্রণেতাদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন কৌঁসুলিরা।
গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ এক পোস্টে গঞ্জালেসের ‘পদত্যাগপত্র’ গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পেত্র।
ওই পোস্টে প্রেসিডেন্ট পেত্র লেখেন, কোনো বিচার বিভাগীয় তদন্তে গোয়েন্দাপ্রধান হিসেবে দায়িত্বপালনের যোগ্যতা তিনি হারিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেন, গঞ্জালেস বেশ কয়েকটি সরকারি বিল দ্রুত পাস করাতে কলম্বিয়ার পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের প্রেসিডেন্টকে ঘুষ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কৌঁসুলিদের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই ঘুষের পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ মার্কিন ডলার। গত বছরের শেষ দিকে ঘুষ দেওয়া হয়। সে সময় গঞ্জালেস প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক দপ্তরের পরিচালক ছিলেন।
শুধু গঞ্জালেসের বিরুদ্ধেই নয়, কৌঁসুলিরা কলম্বিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের (ইউএনজিআরডি) সাবেক দুই পরিচালকের বিরুদ্ধেও পার্লামেন্ট সদস্যদের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন। জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করে তাঁরা এই ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ আনা হয়।
ওই দুই অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেছেন, কৌঁসুলিদের তথ্য দিয়ে তাঁরা তদন্তে সহায়তা করবেন। তবে এর বিনিময়ে তাঁদের সাজা কমাতে হবে।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তাঁরা জড়িত ২০ জনের বেশি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদের নাম বলেছেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা সবাই প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, বর্তমান অর্থমন্ত্রী রিকার্ডো বোনিল্লা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রধান ফার্নান্দো ভালেসকোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার গঞ্জালেস নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন এবং তদন্তের কাজে সহায়তা করার কথা জানিয়েছেন।
২০২২ সালে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হন পেত্র। তিনিই দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির নির্বাচিত প্রথম বামপন্থী প্রেসিডেন্ট।