বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস
বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস

ইভো মোরালেসকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার বলিভিয়া সরকারের

বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস অভিযোগ করেছেন, তাঁর ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার পেছনে দেশটির বর্তমান সরকারের ‘নির্দেশ’ রয়েছে। তবে সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

মোরালেস বলেন, গত রোববার রাতে তাঁর গাড়িবহর বন্দুকযুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছে। বলিভিয়ার কোচাবাম্বা অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে হত্যা করতেই এটা করা হয়েছে।

বলিভিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদওয়ার্দো দেল কাস্তিলো বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্টের গাড়িবহর মাদকবিরোধী টহলের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। এ সময় তাঁর (মোরালেস) নিরাপত্তা দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন ও এক পুলিশকে ধরে ফেলেন।

ইভো মোরালেস ২০০৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুভমেন্ট ফর সোশ্যালিজম (মাস) পার্টির প্রার্থী কে হতে পারেন, তা নিয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইস আর্চির সঙ্গে বিরোধ রয়েছে তাঁর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোববার একটি ভিডিও পোস্ট করেন মোরালেস। তাতে দেখা যায়, তাঁর গাড়ির সামনের কাচে অন্তত দুটি গুলি লেগেছে। তখন মোরালেস গাড়ির সামনের আসনে বসা ছিলেন।

ঘটনার পর মাস পার্টির মোরালেসপন্থীরা একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন, একটি সামরিক ব্যারাক পার হওয়ার সময় কালো পোশাক পরা এক ব্যক্তি মোরালেসের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করেন। এর দায় আর্চির সরকারকেই নিতে হবে।

কিন্তু গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ঘটনার সময় ওই মহাসড়কে মাদকবিরোধী ইউনিট টহলে ছিল। মোরালেসের গাড়িবহর থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে। মোরালেসের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘মোরালেস, আপনি যে নাটক সাজিয়েছেন, তা কেউ বিশ্বাস করবে না।’

সাবেক প্রেসিডেন্ট মোরালেসের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ ও মানব পাচারে সম্পৃক্ততার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে চলছে তদন্ত। আইনি ঝামেলায় জড়ানো মোরালেস এসব অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে এসেছেন।