লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া।
অপরাধী চক্রের এক নেতা কারাগার থেকে পালানোর পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন তরুণ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক নোবোয়া। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করার প্রত্যয়ের কথা জানান তিনি। এরপর এটাই নোবোয়ার সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ।
জরুরি অবস্থা জারির পর নোবোয়া বলেন, ‘আমি মাত্রই জরুরি অবস্থা জারির ডিক্রিতে সই করেছি। এর ফলে সশস্ত্র বাহিনী তাদের কার্যক্রমের জন্য সব ধরনের রাজনৈতিক ও আইনি সহায়তা পাবে।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নোবোয়া বলেন, সরকারকে কী করতে হবে না হবে, সেটা অভিযুক্ত মাদক পাচারকারী, হিটম্যান ও সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্যরা বলে দেবেন, সেদিন এখন আর নেই।
দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করার ফলে সড়কে ও কারাগারের ভেতরে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো দেশে রাতের বেলায় জারি থাকবে কারফিউ।
এর আগে ইকুয়েডরের কারা সংস্থা জানায়, গতকাল দেশটির অন্তত ছয়টি জনাকীর্ণ কারাগারে ‘অঘটন’ ঘটেছে। ২০২১ সালের পর থেকে দেশটির কারাগারগুলোয় বিভিন্ন মাদক ও অপরাধী চক্রের সদস্যদের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় চার শতাধিক বন্দীর প্রাণ গেছে।
গত রোববার ইকুয়েডরের লস ক্রোনেরস নামের একটি অপরাধী চক্রের নেতা এডলফো মাসিয়াস কারাগার থেকে পালিয়ে যান। তিনি ৩৪ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।