মিছিলের সামনে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল (মাঝে)। পাশে প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল মারেরো (মাঝ থেকে ডান দিকে)। এ ছাড়া আছেন দেশটির অন্য নেতারা। ১৪ অক্টোবর ২০২৪
মিছিলের সামনে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল (মাঝে)। পাশে প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল মারেরো (মাঝ থেকে ডান দিকে)। এ ছাড়া আছেন দেশটির অন্য নেতারা। ১৪ অক্টোবর ২০২৪

হাভানায় ফিলিস্তিনপন্থী মিছিল, নেতৃত্বে কিউবার প্রেসিডেন্ট

গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে কিউবার রাজধানী হাভানায় গতকাল সোমবার হাজারো মানুষ মিছিল করেছেন। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল।

কমিউনিস্ট-শাসিত কিউবার প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল মারেরোসহ দেশটির আরও কয়েকজন নেতা এই মিছিলে ছিলেন।

কিউবায় থাকা প্রায় আড়াই শ ফিলিস্তিনি মেডিকেল শিক্ষার্থীও মিছিলে অংশ নেন। মিছিলে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের হাতে ছিল বড় একটি ব্যানার। ব্যানারে লেখা ছিল ‘মুক্ত ফিলিস্তিন দীর্ঘজীবী হোক’।

প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ও তাঁর মিত্ররা ফিলিস্তিনিদের ঐতিহ্যবাহী স্কার্ফ কেফিয়াহ পরে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন।

মিছিলে অংশ নেওয়া আন্তর্জাতিক সম্পর্কের শিক্ষার্থী মিশেল মারিনো (২০) বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য দাবির প্রতি, তাঁদের সার্বভৌমত্ব-স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন জানাতে তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করেছেন। ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ইসরায়েল যে গণহত্যামূলক ক্রুসেড চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে তাঁরা এই মিছিল করেছেন।

কিউবায় এই মিছিলটি হওয়ার কথা ছিল গত ৭ অক্টোবর। কিন্তু হারিকেন মিল্টনের কারণে এই কর্মসূচির সময় পেছানো হয়। গত সপ্তাহে কিউবা ও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আঘাত হানে হারিকেন মিল্টন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজাযুদ্ধের সূত্রপাত হয়। সেদিন গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।

জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এক বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি হামলা চলছে। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৪২ হাজার ২৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।