ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বামপন্থী নেতা লুলা দা সিলভার বিজয়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গেছে জইর বলসোনারোর দল লিবারেল পার্টি। দলটি নির্বাচনের ফল মেনে নিতে পারেনি। দলটির পক্ষ থেকে ভোট বাতিল করার দাবিতে গত মঙ্গলবার নির্বাচনী আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। তাতে গত মাসের নির্বাচনে ব্যবহৃত ২ লাখ ৮০ হাজার ভোটিং মেশিনের ফল বাতিল করতে বলা হয়েছে। দলটির যুক্তি, এসব যন্ত্রে ত্রুটি ছিল। ত্রুটিযুক্ত যন্ত্র ব্যবহার করে তাঁদের নেতা জইর বলসোনারোর জয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ব্রাজিলের সুপিরিয়র ইলেকটোরাল কোর্টে (টিএসই) করা মামলায় লিবারেল পার্টি আরও বলেছে, ত্রুটিযুক্ত ভোটিং যন্ত্রগুলোর ফল বাতিল করতে হবে। দলটির পক্ষ থেকে দেশটির দ্বিতীয় ধাপের ফলাফলের বিষয়টি আইনভাবে নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া দলটির পক্ষ থেকে ব্যালট বাক্সের পাঁচটি মডেলের ত্রুটি থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছে। দলটির ভাড়া করা লিগ্যাল ভোটিং ইনস্টিটিউট নামের একটি প্রতিষ্ঠান কারিগরি এসব ত্রুটি ধরিয়ে দিয়েছে। এতে ভোটপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গত মাসের নির্বাচনে ব্রাজিলের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো প্রতিদ্বন্দ্বী লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে সামান্য ব্যবধানে হেরে যান। জয়ের এ ব্যবধান ২ শতাংশের কম।
লিবারেল পার্টির এক আইনজীবী বলেন, ভোটিং মেশিনে যে ত্রুটি ছিল, তাতে ভোটারকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া ব্যালট বাক্সের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। পুরোনো মডেলের ব্যালট বাক্স ব্যবহার করায় লুলা সুবিধা পেয়েছেন।
তবে দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের ফল বাতিলের দাবি উঠলেও নির্বাচনে হারের পর থেকে চুপচাপ রয়েছেন বলসোনারো।
বলসোনারো নির্বাচনের ফল মেনে নেওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া অনুমোদন করেছেন। আগামী জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারেন লুলা। ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় ধীর গতি নিয়ে লুলা সমর্থকদের মধ্যে সমালোচনা বাড়ছে।