ভেনেজুয়েলায় জুলাইয়ের নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের দিকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ছেন দাঙ্গা পুলিশের এক সদস্য। কারাকাস, ভেনেজুয়েলা
ভেনেজুয়েলায় জুলাইয়ের নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের দিকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ছেন দাঙ্গা পুলিশের এক সদস্য। কারাকাস, ভেনেজুয়েলা

ভেনেজুয়েলায় মুক্তি পেলেন শতাধিক বিক্ষোভকারী

ভেনেজুয়েলায় গত জুলাইয়ের বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে বিক্ষোভের সময় আটক শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গতকাল শনিবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়ভাবে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা গ্রুপ ফোরো পেনাল এ তথ্য জানিয়েছে। মোট চারটি কারাগার থেকে এই বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হয়। ফোরো পেনাল বন্দী বিক্ষোভকারীদের মুক্তির তালিকা রাখছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ফোরো পেনালের পরিচালক আলফ্রেডো রোমেরো বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ভেনেজুয়েলায় নির্বাচন–পরবর্তী পরিস্থিতিতে গ্রেপ্তার ১০৭ জন রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি নিশ্চিত হতে পেরেছি।’

দেশটির প্রসিকিউটরের কার্যালয় এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।

ফোরো পেনালের তথ্যানুযায়ী, ২৮ জুলাইয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর অন্তত ১ হাজার ৮০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ওই নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় থেকে যান প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো। ২০১৩ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন মাদুরো। জানুয়ারি থেকে তাঁর পরবর্তী ছয় বছর মেয়াদ শুরু হবে।

পরিচালক রোমেরো বলেন, তাঁর সংস্থা ভেনেজুয়েলার মধ্যাঞ্চলের চারটি কারাগার থেকে ওই বন্দীদের মুক্তি দেওয়া বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে। এর মধ্যে টোকরন কারাগার থেকে অন্তত ৫০ তরুণকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন তরুণ টোকরন কারাগারের বাইরে মহাসড়ক ধরে হেঁটে যাচ্ছেন। সেখানে জড়ো হওয়া লোকজন তাঁদের দেখে চিৎকার করছেন এবং করতালি দিচ্ছেন।

ভ্যালেন্সিয়ার টোকুইতো কারাগারের বাইরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক তরুণ বলেছেন, তিনি মা–বাবার সঙ্গে বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ার জন্য আকুল হয়ে আছেন। কারণ, কারাগারের খাবার নিরাপদ কি না, সেটা নিয়ে তাঁর প্রায়ই সন্দেহ হতো। আজও বন্দিমুক্তি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জুলাইয়ের ভোটের পর ভেনেজুয়েলাজুড়ে প্রাণঘাতী সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। বিরোধী দল, মানবাধিকার গ্রুপ ও ইউনিয়নগুলোর অভিযোগ মাদুরো প্রশাসন ভিন্নমতের দমন করে।