আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থী প্রার্থী হ্যাভিয়ার মিলেই জয়ী হয়েছেন।
গতকাল রোববার দেশটিতে দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে মিলেইর প্রতিপক্ষ ছিলেন বামপন্থী প্রার্থী সার্জিও মাসা।
প্রায় ৯০ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, মিলেই প্রায় ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। মাসা পেয়েছেন প্রায় ৪৪ শতাংশ ভোট।
অর্থাৎ, মাসার চেয়ে মিলেই ১০ শতাংশের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।
নির্বাচনে নিজের পরাজয় ইতিমধ্যে মেনে নিয়েছেন আর্জেন্টিনার বর্তমান অর্থমন্ত্রী মাসা। তিনি বলেছেন, তাঁরা যেমনটা আশা করেছিলেন, ফলাফল তেমনটা হয়নি। তবে তিনি মিলেইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এখন দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব মিলেইর।
আর্জেন্টিনায় গত ২২ অক্টোবর প্রথম দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে কোনো প্রার্থী প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোট পেতে ব্যর্থ হন। ফলে নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়।
প্রথম দফার নির্বাচনে সর্বোচ্চসংখ্যক ভোট পেয়েছিলেন মাসা। তিনি ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। মিলেই ৩০ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন।
নিয়ম অনুসারে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীকে অবশ্যই মোট ভোটের ৪৫ শতাংশের বেশি পেতে হবে। বিজয়ীকে অবশ্যই দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রার্থীর চেয়ে কমপক্ষে ১০ শতাংশ ভোটে এগিয়ে থাকতে হবে।
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে মাসা ও মিলেইর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দেওয়া হয়েছিল জরিপে। কিন্তু ভোটে মাসাকে খুব সহজেই হারিয়ে দিলেন মিলেই।
মিলেইকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সঙ্গে তুলনা করা হয়।
নির্বাচনে বিজয় অর্জন করায় মিলেইকে ইতিমধ্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনাকে আবার মহান করবেন’ মিলেই।
মিলেই এমন একসময় আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন, যখন দেশটি অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত। দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলছে।
আর্জেন্টিনার বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ১৪০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। দেশটির মানুষ জীবনযাত্রার ব্যয় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
মিলেই একজন ‘বহিরাগত’ ও ‘অপরীক্ষিত’ নেতা। তবু তাঁর ওপর ভরসা রাখলেন আর্জেন্টিনার ভোটারেরা। তাঁর জয়ে প্রতীয়মান হয় যে আর্জেন্টিনার ভোটারেরা প্রথাগত রাজনীতি ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে তিক্তবিরক্ত।