এক মাস না পেরোতেই আবার কিউবা উপকূলে দেখা গেল রুশ যুদ্ধজাহাজ। কিউবার পক্ষ থেকে রুশ যুদ্ধজাহাজকে তাদের উপকূলে আসার বিষয়টিকে নিয়মিত চলাচলের অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে হাভানার লোকজন গত শনিবার রুশ যুদ্ধজাহাজের এগোনোর বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে।
কিউবার কর্তৃপক্ষ ফাঁকা গুলি চালিয়ে রুশ যুদ্ধজাহাজকে স্বাগত জানানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। হাভানার উৎসাহী জেলেরা ইতিমধ্যে এসব যুদ্ধজাহাজকে হাভানার জলসীমায় আসতে দেখেছেন।
রুশ বাল্টিক ফ্লিটের বা জাহাজবহরের অংশ হিসেবে কিউবাতে আসা জাহাজের মধ্যে রয়েছে টহল জাহাজ নিউসত্রাহিমি, প্রশিক্ষণ জাহাজ সোলিনি ও অন্যান্য সহযোগী যুদ্ধজাহাজের বহর। আগামী মঙ্গলবার এগুলো আবার কিউবা ছাড়বে। কিউবার রেভল্যুশনারি আর্মড ফোর্সেসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুটিন বা নিয়মিত চলাচলের অংশ হিসেবে এগুলো কিউবায় এসেছে।
এ বিষয়ে অবশ্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও পেন্টাগন কোনো তথ্য জানায়নি।
এর আগে গত জুন মাসে একটি রুশ পারমাণবিক সাবমেরিন, ফ্রিগেট ও অন্য রসদবাহী জাহাজ হাভানা বন্দরে নোঙর করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে এর দূরত্ব ছিল মাত্র ১০০ মাইল। অর্থাৎ এ অঞ্চলে রাশিয়া তার শক্তি প্রদর্শন করেছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করলে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সহায়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আটলান্টিকে রুশ নৌবাহিনীর কার্যক্রমে গতি পেয়েছে। যদিও এ অঞ্চলে রুশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ নিয়মিত টহল দিয়ে থাকে।
একই সঙ্গে রাশিয়ার স্নায়ুযুদ্ধকালীন মিত্র কিউবার সম্পর্ক আরও উন্নত হয়েছে। অবশ্য এ সময়ে কমিউনিস্টচালিত রাষ্ট্র কিউবার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। কারণ, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে রাশিয়া ও কিউবার মধ্যে যোগাযোগ অনেক বেড়েছে, যা আগে দেখা যায়নি। কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ-কানেল চারবার মস্কো সফর করেছেন।