ভেনেজুয়েলার দেশত্যাগী বিরোধী নেতা এদমুন্দো গোনসালেস উররুতিয়া স্পেনে পৌঁছেছেন। তিনি স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন।
গত জুলাইয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিরোধ ও বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় ভেনেজুয়েলার একটি আদালত সম্প্রতি গোনসালেসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর আগে তিনি পরপর তিনবার আদালতের সমন উপেক্ষা করেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
আত্মগোপন থাকা অবস্থায় তিনি দেশ ছেড়ে স্পেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গত শনিবার তিনি দেশ ছাড়েন। পরদিন রোববার তিনি স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে পৌঁছান।
একটি সামরিক উড়োজাহাজে করে মাদ্রিদে পৌঁছান ৭৫ বছর বয়সী গোনসালেস। উড়োজাহাজটি মাদ্রিদে অবতরণের পরপরই তাঁর প্রচার দল একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করে।
অডিও বার্তায় গোনসালেস বলেন, তিনি এই বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী যে তাঁরা শিগগিরই ভেনেজুয়েলায় স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই চালিয়ে যেতে সক্ষম হবেন।
গোনসালেসের দেশত্যাগের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট দিয়েছেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া কারিনা মাচাদো। এতে তিনি বলেন, গোনসালেস দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। কারণ, তাঁর জীবন ঝুঁকির মধ্যে ছিল। নির্বাচনের পর তাঁদের ওপর একের পর এক নিষ্ঠুর নিপীড়ন নেমে এসেছে।
গত জুলাই মাসে ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোর বিপক্ষে বিরোধী জোটের প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেন গোনসালেস।
নির্বাচনে মাদুরোকে জয়ী ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কর্তৃপক্ষ। তবে বিরোধী দল ভোটের এই ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। বিরোধীদের দাবি, তাদের প্রার্থী গোনসালেস প্রেসিডেন্ট মাদুরোর চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। মাদুরোকে জালিয়াতি করে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও ভোটের ফলাফলের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর তা বাতিলের দাবিতে ভেনেজুয়েলাজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্ট মাদুরো কঠোর হাতে বিক্ষোভ দমনের পথে হাঁটেন। এতে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।
দেশটির বিরোধী নেতা মারিয়া নিজেও আত্মগোপনে আছেন।