কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও কীভাবে হামলা চালালেন বলসোনারো সমর্থকেরা

প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে দাঙ্গাবাজদের হটাতে অ্যাকশনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে দাঙ্গাবাজদের হটাতে অ্যাকশনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা

ব্রাজিলের কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালিয়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সমর্থকেরা। রোববার চালানো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা। আর সমালোচকেরা প্রশ্ন তুলেছেন, রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় এত নিরাপত্তার মধ্যেও রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ভবনে কীভাবে হামলার ঘটনা ঘটল?

দাঙ্গাবাজদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় শুরুতে পিছু হটতে বাধ্য হন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

গত অক্টোবরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের এক নির্বাচনে বলসোনারোকে পরাজিত করেন লুলা। এর পর থেকেই সাবেক প্রেসিডেন্টের সমর্থকেরা রাজধানীর সেনাবাহিনীর কার্যালয়ের সামনে জড়ো হচ্ছিলেন। একইভাবে দেশটির অন্য শহরগুলোতে সমাবেশ করতে দেখা যায় তাঁদের। তিন ভবনে হামলা চালাতে সেনা কার্যালয়ের সামনে থেকে আট কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয়েছে বলসোনারো সমর্থকদের।

প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে দাঙ্গাবাজদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

রোববার যে তিন ভবনে হামলা চালানো হলো, সেগুলোর অবস্থান রাজধানীর ‘থ্রি পাওয়ার স্কয়ার’-এ। এর আশপাশে ব্রাজিলের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভবন রয়েছে। তাই পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মোড়া থাকে। এর মধ্য দিয়েই হেঁটে গিয়েছেন বলসোনারো সমর্থকেরা। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, এ সময় তাঁদের তেমন কোনো বাধা দেননি নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সদস্যরা।

যে বিষয়টি পুরো ঘটনাকে আরও জটিল করে তুলেছে, সেটি হলো প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের নিরাপত্তার জন্য সেনাসদস্যদের পুরো একটি দল সব সময় মোতায়েন থাকে।

এরপরও কীভাবে তাঁদের এড়িয়ে বলসোনারো সমর্থকেরা ভবনটিতে হামলা চালিয়েছেন, তা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ডিক্রি জারি করতে তিন ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। এই ডিক্রি ব্রাসিলিয়ায় আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে লুলা সরকারকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে।

এদিকে রোববারের ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ব্রাজিলের বিচারবিষয়ক মন্ত্রী ফ্লাভিও ডিনো। আর দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রোসা ওয়েবার বলেছেন, রোববার ব্রাসিলিয়ায় নিরাপত্তার দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সবাইকে তদন্তের আওতায় আনা হবে। তবে যে যা–ই বলুক না কেন, হামলার ঘটনা ঘিরে যেসব প্রশ্ন উঠেছে এখন সেগুলোর কোনো জবাব আসেনি ব্রাজিলের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর কাছ থেকে। এমনকি এ বিষয়ে দেশের মানুষের উদ্দেশে কোনো বিবৃতিও দেয়নি তারা।