ব্রাজিলে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে এই রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে গণটিকা কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে দেশটি।
কর্মকর্তারা বলছেন, ২০ কোটি ৩০ লাখ জনগোষ্ঠীর দেশটি গত ডিসেম্বরে ‘কিউডেঙ্গা’ নামের এই টিকার অনুমোদন দেয়। বিশ্বে এই প্রথম কোনো দেশ এটি সরকারিভাবে প্রয়োগ করতে যাচ্ছে।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, টিকাটি প্রস্তুত করছে জাপানের ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান তাকেদা। তবে তারা প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ করতে না পারায় টিকার সংখ্যা এখন সীমিত।
গত রোববার এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, প্রথম দফায় ডেঙ্গু প্রতিরোধী টিকা আসবে সাড়ে সাত লাখ। টিকাটি দুই ডোজের। তবে চলতি বছরেই দেশটি সব মিলিয়ে ৬৫ লাখ টিকা পাওয়ার আশা করছে। এটি শিশুদের দেওয়া যাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত বছর ডেঙ্গুর হটস্পটগুলোতে ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়ার সুপারিশ করেছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে।
২০২২ সালের তুলনায় গত বছর ব্রাজিলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। আর চলতি বছরের প্রথম দুই সপ্তাহে ৫৬ হাজার রোগী নিবন্ধিত হয়েছেন, যা গত বছরের আগের সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ। দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে চলতি বছর এ পর্যন্ত এ রোগে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
এডিস মশাবাহিত এই রোগে প্রতিবছর বিশ্বের ১০ থেকে ৪০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটির উপসর্গ হালকা থাকে। আবার কখনো কখনো উপসর্গই থাকে না।
এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তন বড় কারণ হতে পারে। সম্প্রতি মেডিকেল জার্নাল দ্য লেনসেট-এর খবরে বলা হয়, ২১০০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ৩৬ শতাংশ বাড়বে।