ভেনেজুয়েলার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিকোলা মাদুরো জয়ী হয়েছেন। ভোটের আংশিক ফলাফলের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির জাতীয় নির্বাচনী পরিষদ (সিএনই)।
সিএনইর প্রধান এলভিস আমোরোসো মাদুরোর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, ৮০ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে মাদুরো ৫১ দশমিক ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী জোটের প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া পেয়েছেন ৪৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ভোট।
ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলগুলোর জোট ভোট গণনায় ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছে। তারা বলেছে, ভোটের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করা হবে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতকাল রোববার লাতিন আমেরিকার দেশটিতে ভোট হয়। দেশটিতে ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন মাদুরো। গতকালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।
ভোটের আগে অবশ্য বিভিন্ন জরিপে বলা হয়েছিল, গঞ্জালেজের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছেন মাদুরো। কিন্তু এখন দেশটির জাতীয় নির্বাচনী পরিষদ প্রকাশিত ফলাফল বলছে, নির্বাচনে মাদুরো জয়ী হয়েছেন।
ভোট গণনা উপলক্ষে বিরোধী জোট কেন্দ্রগুলোয় হাজারো পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। জোটের এক মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, অনেক ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁদের পর্যবেক্ষকদের বের করে দেওয়া হয়েছে।
মাদুরো সরকার ভোট চুরি করতে পারে, এমন আশঙ্কায় পর্যবেক্ষকদের কেন্দ্রগুলোয় কড়া নজর রাখার জন্য আগেই আহ্বান জানিয়েছিল বিরোধী জোট।
দীর্ঘ ২৫ বছর ভেনেজুয়েলার ক্ষমতায় আছে সমাজতন্ত্রী পিএসইউভি পার্টি। হুগো চাভেজের নেতৃত্বে দলটি প্রথম ক্ষমতায় আসে। ২০১৩ সালে চাভেজের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় বসেন মাদুরো।
দেশটির অনেক ভোটার ভেনেজুয়েলার বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক দমন–পীড়ন নিয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ। তাই অনেক ভোটার এবারের নির্বাচনে পরিবর্তন আশা করছিলেন।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল বিরোধীরা। এবারের নির্বাচনেও ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা করে আসছিল তারা।
প্রেসিডেন্ট মাদুরো আগেই বলেছিলেন, এবারের নির্বাচনে তিনি যেকোনো মূল্যে জিতবেন। তাঁর এমন মন্তব্যের পর সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়।