ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া করিনা মাচাদোর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয়। প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে লক্ষ্য করে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করায় মাচাদোর বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। গত জুলাইয়ের বিতর্কিত নির্বাচনে তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সোমবার মাদুরোকে লক্ষ্য করে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ভেনেজুয়েলার সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয় এক বিবৃতিতে এসব খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মাচাদো যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেছেন। এতে তিনি পেনাল কোডের ১২৮ ধারা অনুযায়ী জন্মভূমির সঙ্গে দেশদ্রোহিতা করেছেন এবং বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করার জন্য পাঁয়তারা করে এমন যেকোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী, দেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ‘বলিভার অ্যাক্ট’ পাস হয়। এতে মাদুরো প্রশাসন বা তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর সব ধরনের ব্যবসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রস্তাবটি দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে পাস হতে হবে। এরপর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষর করলেই তা আইনে পরিণত হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে ২০১৭ থেকে ২০২১ সালে মাদুরো প্রশাসনের ওপর সর্বোচ্চ চাপ তৈরির নীতি গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তাতেও মাদুরোকে সরানো যায়নি।
তেলসমৃদ্ধ, কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে নড়বড়ে ভেনেজুয়েলায় গত জুলাইতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাদুরোকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু বিরোধীরা নিজেদের প্রার্থী এদমুন্দো গোনসালেস উররুতিয়াকেই ৬৭ শতাংশের বেশি ভোটে জয়ী ঘোষণা করেন। নির্বাচনের পর উররুতিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলে তিনি স্পেনে পালিয়ে যান। অন্যদিকে মাচাদো আত্মগোপনে রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাতে মাদুরোর পরিবর্তে উররুতিয়াকেই ভেনেজুয়েলার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দেয়।