বলসোনারো নীরবতা ভাঙলেন, এল ক্ষমতা ছাড়ার ঘোষণাও

৪৪ ঘণ্টা নীরব থাকার পর অবশেষে মঙ্গলবার জনসমক্ষে হাজির হন বলসোনারো
ছবি: রয়টার্স

নির্বাচনে পরাজয়ের পর ব্রাজিলের কট্টর ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো দুই দিন ধরে একেবারে চুপ ছিলেন। অবশেষে সেই নীরবতা ভেঙেছেন তিনি। ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করে তিনি কোনো বক্তব্য দেননি। তবে তাঁর শীর্ষ কর্মকর্তা ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। খবর বিবিসির।

গত রোববার ঘোষিত ফলাফলে ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বামপন্থী নেতা লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে ডানপন্থী জইর বলসোনারো পরাজিত হন। ব্রাজিলের নির্বাচনী রীতি অনুযায়ী ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থী পরাজয় মেনে নিয়ে বিবৃতি দেন এবং জয়ী প্রার্থীকে ফোন করে অভিনন্দন জানান। তবে ফল ঘোষণার পর প্রায় দুই দিন ধরে বলসোনারো এ ব্যাপারে নীরব ছিলেন। এমন অবস্থায় তিনি আদৌ পরাজয় মেনে নেবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।

৪৪ ঘণ্টা নীরব থাকার পর অবশেষে মঙ্গলবার জনসমক্ষে হাজির হন বলসোনারো। তিনি মাত্র দুই মিনিটের বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে থেকে কোনো প্রশ্ন নেওয়া হয়নি।

সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলসোনারো বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নগুলো চিরদিন টিকে থাকবে।’

বক্তব্য দেওয়ার সময় লুলা দা সিলভার নামও উচ্চারণ করেননি তিনি। তিনি তাঁর বক্তব্যে ফলাফল স্বীকার বা অস্বীকার কোনো কিছুই করেননি।

বলসোনারোর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর তাঁর চিফ অব স্টাফ সিরো নোগুয়েইরা বলেছেন, ‘ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া’ শুরু হবে।

বলসোনারো নিজ মুখে পরাজয় স্বীকার না করলেও তাঁর বক্তব্যের পরপরই ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দিয়েছেন। এতে বলা হয়, ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া অনুমোদন করার মধ্য দিয়ে তিনি (বলসোনারো) নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়েছেন।
আগামী ১ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন লুলা। বলসোনারোর সমর্থকেরা ব্রাজিলের বিভিন্ন রাজ্যে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। মাঝরাস্তায় গাড়ি রেখে ও টায়ার জ্বালিয়ে যান চলাচলও বন্ধ করে দেন।

মঙ্গলবার সকালে সড়ক অবরোধকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি উল্লেখ করে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আলেকসান্দার মোরায়েস পুলিশকে দ্রুত বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেন।