‘হোয়াটসঅ্যাপকে না বলুন’, ‘টিকটক ও ইনস্টাগ্রামকে ঘৃণা করুন’— সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে এভাবেই আক্রমণ করেছেন ভেনেজুয়েলার সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো। যদিও নিজে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন।
গত ২৮ জুলাইয়ের নির্বাচনে ৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে নতুন করে ক্ষমতায় আসেন মাদুরো। বিরোধীরা মাদুরোর বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে ভোটে জেতার অভিযোগ তুলেছেন এবং এ–সংক্রান্ত প্রমাণ থাকার দাবি করছেন। বিরোধী জোটের প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেস উরুতিয়া ভোটে নিজের জয় দাবি করেছেন।
বিতর্কিত নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে ভোটের পর ভেনেজুয়েলাজুড়ে আন্দোলন-সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ওই আন্দোলন ও সংঘাতের ছবি, ভিডিও এবং খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সংঘাতে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানায় কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন।
মাদুরো নিজেও জানান, প্রায় দুই হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সরকারি চাপের মুখে মাদুরোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভের খবর ভেনেজুয়েলার সংবাদমাধ্যমগুলোতে তেমন প্রচার পায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে বিক্ষোভের খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে মাদুরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিষয়বস্তুগুলো ‘ঘৃণা’, ‘ফ্যাসিবাদ’, ‘বিভাজন’ ও ‘হুমকি’ প্রচার করে।
‘তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া ব্যবহার করে টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে ঘৃণা ছড়াচ্ছে। আমি টিকটক ও ইনস্টাগ্রামকে ভেনেজুয়েলায় বিভেদ ও ঘৃণা ছড়ানোর জন্য তাদের দায় থাকার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি’, বলেন মাদুরো। নিজ নিরাপত্তা কাউন্সিলকে ‘অপরাধী সাইবার ফ্যাসিবাদী অভ্যুত্থান’ বন্ধ করার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
মাদুরো এক্সের মালিক ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে ‘ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে আক্রমণ’ সাজানোর অভিযোগও করেন। ভেনেজুয়েলার জাতীয় নির্বাচন কাউন্সিলের (সিএনই) ব্যবস্থায় ‘ব্যাপক হ্যাকিংয়ের’ জন্যও তিনি মাস্ককে দায়ী করেন। যদিও বিষয়টি এখনো তদন্ত করে দেখা হয়নি।