মন্ত্রিসভার এক সদস্যসহ একাধিক নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মানবাধিকারমন্ত্রী সিলভিও আলমেইডাকে বরখাস্ত করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা।
লুলার কার্যালয় থেকে গতকাল শুক্রবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ওই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির এমন সব অভিযোগ উঠেছে যে প্রেসিডেন্ট মনে করছেন, তাঁকে আর দায়িত্বে রাখা নৈতিকভাবে উচিত হবে না।’
আলমেইডার বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেন আলমেইডা। তিনি তাঁদের আইনি সুরক্ষা পেতে সহায়তা করেন। বরখাস্ত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি নিজেই প্রেসিডেন্ট লুলাকে বলেছেন তাঁকে বরখাস্ত করতে, যাতে ‘স্বাধীন’ তদন্ত নিশ্চিত করা যায়।
বিবৃতিতে আলমেইডা আরও বলেছেন, ‘এটা আমার জন্য নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করা এবং নিজেকে পুনর্গঠিত করার একটি সুযোগ হবে...বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আসতে দিন, আমি যেন আইনি প্রক্রিয়ায় আত্মরক্ষা করতে পারি।’
বরখাস্ত হওয়ার আগে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেন আলমেইডা। ওই ভিডিওতে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ এবং ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলেছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আলমেইডার বিরুদ্ধে যেসব নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন, তাঁদের একজন জাতিগত সমতাবিষয়ক মন্ত্রী অ্যানিয়েল ফ্রাঙ্কো।
ফ্রাঙ্কো নিজেও একজন মানবাধিকারকর্মী। তিনি গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে যাঁরা তাঁর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে ফ্রাঙ্কো লেখেন, ‘আমি আপনাদের আমাকে নিজের মতো থাকা এবং আমার গোপনীয়তার অধিকারের প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানাই।’
ফ্রাঙ্কো আরও বলেন, ‘যখনই আমাকে ডাকা হবে, আমি তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতা করব।’
গতকাল বিবৃতি দেওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট লুলা স্থানীয় একটি রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘হয়রানি করেন—এমন কেউ সরকারে থাকতে পারবেন না।’
ফ্রাঙ্কো ও আলমেইডা উভয়ই লুলার এই মেয়াদের শুরু থেকে তাঁর মন্ত্রিসভায় আছেন। উভয়ই দেশটিতে গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকারকর্মী হিসেবেও পরিচিত।