সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স নিয়ে ব্রাজিলের একজন বিচারকের সঙ্গে রীতিমতো লড়াইয়ে নেমেছিলেন এক্সের মালিক মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তবে শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ে পিছু হটেছেন তিনি। এক্সের পক্ষ থেকে ব্রাজিলে একজন আইনি প্রতিনিধি নিয়োগ, আদালতের নির্দেশ মেনে জরিমানা দেওয়া, ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছেন তিনি।
এর আগে আদালতের নির্দেশ মানতে রাজি না হওয়ায় ব্রাজিলে এক্স ব্যবহার বন্ধের আদেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ ছিল, দেশটিতে এক্সের একজন আইনি প্রতিনিধি নিয়োগ করতে হবে। এ ছাড়া দেশটির গণতন্ত্রের জন্য হুমকি এমন অভিযোগ ওঠা অ্যাকাউন্ট বাতিল করতে হবে। নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুরুতে আদালতের আদেশ মানতে রাজি ছিলেন না মাস্ক। পরে তিনি পিছু হটেছেন। তবে লড়াই এখনো শেষ হয়নি।
ব্রাজিলের সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, এক্সের পক্ষ থেকে ব্রাজিলে তাঁদের প্রতিনিধি নিয়োগের যথাযথ নথিপত্র এখনো দাখিল করা হয়নি। এ নিয়ে এক্সকে পাঁচ দিনের সময় দিয়েছেন আদালত।
গত এপ্রিল মাস থেকে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেকসান্দার দা মোরায়েসের সঙ্গে লড়ছিলেন মাস্ক। বিচারক মোরায়েস এক্সকে ১০০টির বেশি অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেন। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২২ সালের ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে প্রশ্ন তোলা হয়। এসব অভিযোগে দেশটির কট্টর ডানপন্থী নেতা জইর বলসোনারোর পরাজয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল।
গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে ব্রাজিলে এক্সের কার্যালয় বন্ধ করে দেন মাস্ক। এতে দেশটিতে এক্সের কোনো আইনি প্রতিনিধি ছিল না। এতে ব্রাজিলে কার্যক্রম চালাতে আইনি বাধ্যবাধকতার মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্রাজিলের মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের আবেদনের মুখে বিচারক মোরায়েস এক্স ব্যবহার বন্ধ ঘোষণা করেন। এতে বিচারককে আক্রমণ করে মন্তব্য করেন মাস্ক। গত সপ্তাহে সফটওয়্যার হালনাগাদ করে আবার ব্রাজিলে এক্স চালু হয়। তবে বিচারক মোরায়েস একে অবৈধ বলে মন্তব্য করেন এবং জরিমানা ধার্য করেন।