প্যারাগুয়ে নদীর পানি গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। দেশটিতে কয়েক মাস টানা খরার কারণে নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। স্থলবেষ্টিত দেশ প্যারাগুয়ের অর্থনীতি এতে ব্যাপক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারাগুয়ের বৈদেশিক বাণিজ্যের ৮৫ শতাংশই প্যারাগুয়ে নদীপথে হয়। ব্রাজিলের মাতো গ্রসো রাজ্যের প্যানটানালে অনেক দিন ধরে অনাবৃষ্টির কবলে। আর এর প্রভাব পড়েছে প্যারাগুয়ে নদীতে। ওই অঞ্চল থেকে নদীর প্রবাহ বলিভিয়া থেকে আর্জেন্টিনা পর্যন্ত গেছে।
প্যারাগুয়ে নদীর পানির স্তর নেমে যাওয়ায় সেখানে চলাচলকারী কার্গোসহ বিভিন্ন নৌযানের গতি কমে গেছে। এতে জ্বালানি, তেল, খাবারসহ আমদানি করা খাবারের দাম বেড়ে গেছে। আর এর ফলে দেশটির সুপেয় পানির সুব্যবস্থার অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
প্যারাগুয়ান ইমপোর্টার্স সেন্টারের প্রেসিডেন্ট নেরি গিমেঞ্জ বলেন, ‘আমরা এখন যে ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি, এমন মারাত্মক সমস্যার মুখে আমরা কখনো পড়িনি। বছর শেষ হওয়ার পথে। এ সময় দেশে আরও পণ্য আমদানি করা দরকার।’
গিমেঞ্জ বলেন, সরকার মহামারির কঠোর লকডাউন তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আবার ঘুরে দাঁড়ানোর আশা নদীর সমস্যার কারণে আটকে যেতে পারে।
প্যারাগুয়ান শিপ ওনার্স সেন্টারের প্রেসিডেন্ট এস্তেবান দস সান্তোস বলেন, প্যারাগুয়ের নদী যোগাযোগ খাতের লোকসান ২৫ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে, নদীর পানি প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ সেন্টিমিটার করে কমছে। এখানে নৌযান চালানো কঠিন হবে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নৌকায় রাজধানী অ্যাসুনসিয়ন পৌঁছানো যাবে না। দেশটিতে যদি সমস্যা চলতে থাকে, তবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে। জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দেবে।
শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে দেশটির বেশ কিছু জায়গায় দাবানল সৃষ্টি হয়েছে।