যুক্তরাষ্ট্রের পর দক্ষিণ আমেরিকার মেক্সিকো, চিলি ও কোস্টারিকায় গণহারে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। খবর বিবিসির।
এই মহাদেশে প্রথম করোনার টিকা নিয়েছেন মেক্সিকোর একজন নার্স। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটিতে প্রথমবারের মতো এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। এর আগে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানির ফাইজার-বায়োএনটেকের ৩ হাজার ডোজ টিকার প্রথম চালানটি এসে পৌঁছায়।
বিশ্বে করোনা মহামারিতে মৃত্যুর হারে শীর্ষে থাকা দেশগুলোর একটি মেক্সিকো। করোনা রোগীর মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও ভারতের পরই দেশটির অবস্থান।
মেক্সিকো বলেছে, করোনা মহামারি মোকাবিলার লড়াইয়ে সম্মুখসারিতে থাকা সব স্বাস্থ্যকর্মীকে আগামী মার্চের মধ্যে টিকা দিতে চায় সরকার। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে অন্তত ১ লাখ ২০ হাজার।
বৃহস্পতিবারই চিলি ও কোস্টারিকায় ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেওয়া শুরু হয়। ইতিমধ্যে, আর্জেন্টিনা রাশিয়ার তৈরি স্পুতনিক-ভি টিকার জরুরি ব্যবহারের বিষয়টি অনুমোদন করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী বুয়েনেস আইরেসে এ টিকার ৩ লাখ ডোজের প্রথম চালান এসে পৌঁছায়।
দক্ষিণ আমেরিকায় প্রথম মেক্সিকো সিটির রুবেন লিওরো হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) প্রধান মারিয়া আইরিন রামিরেজ (৫৯) স্বেচ্ছায় করোনার টিকা গ্রহণ করেন। স্থানীয় এল ইউনিভার্সাল পত্রিকার খবরে বলা হয়, টিকা নেওয়ার পর মারিয়া আইরিন বলেন, ‘(টিকা নেওয়ার বিষয়ে) ভয় কাজ করছিল। কিন্তু সামনে এগোতে হয়েছে। আমি ঝুঁকির সামনে নিজেকে সঁপে দিয়েছি।’
চিলিতে করোনায় নিশ্চিত সংক্রমণের ঘটনা প্রায় ৬ লাখ। মারা গেছে ১৬ হাজার ৩০০-এর বেশি মানুষ। কোস্টারিকায় প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার মানুষের এ রোগ শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ২ হাজারের বেশি লোক। আর্জেন্টিনায় সংক্রমণের ঘটনা ১৬ লাখের কাছাকাছি ও মৃতের সংখ্যা ৪২ হাজার ৩০০ এর বেশি।
গণহারে টিকা দেওয়া শুরুর আগের দিন গত বুধবার মেক্সিকোর কেনা ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকার প্রথম চালানের ৩০০০ ডোজ বেলজিয়াম থেকে এসে পৌঁছায়। চালান এসে পৌঁছানোর দৃশ্য স্থানীয় গণমাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়। একই দিন সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে টিকা নিয়ে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ম্যানুয়েল লোপেজ আব্রাডোর।
মেক্সিকো বলেছে, করোনা মহামারি মোকাবিলার লড়াইয়ে সম্মুখসারিতে থাকা সব স্বাস্থ্যকর্মীকে আগামী মার্চের মধ্যে টিকা দিতে চায় সরকার। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে অন্তত ১ লাখ ২০ হাজার।
চিলিতে করোনায় নিশ্চিত সংক্রমণের ঘটনা প্রায় ৬ লাখ। মারা গেছে ১৬ হাজার ৩০০-এর বেশি মানুষ। কোস্টারিকায় প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার মানুষের এ রোগ শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ২ হাজারের বেশি লোক। আর্জেন্টিনায় সংক্রমণের ঘটনা ১৬ লাখের কাছাকাছি ও মৃতের সংখ্যা ৪২ হাজার ৩০০ এর বেশি।