বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস ভেনেজুয়েলার একটি সরকারি বিমানে গতকাল শুক্রবার বিকেলে কারাকাসের উদ্দেশে আর্জেন্টিনা ত্যাগ করেছেন। আর্জেন্টিনার সংবাদ সংস্থা তেলাম এ তথ্য জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মোরালেস গত ডিসেম্বর থেকে বুয়েনস এইরেসে নির্বাসনে ছিলেন। তেলামের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ইজেইজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভেনেজুয়েলার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বলিভিয়ার মুভমেন্ট ফর সোশ্যালিজম পার্টির (এমএএস) নেতা ইভো মোরালেস কাল রোববার আবার আর্জেন্টিনায় ফিরবেন।
গত সোমবার ইভো মোরালেস বলিভিয়ায় ফেরারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। গত সপ্তাহে দেশটির নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে এমএএস পার্টি। মাস কয়েকের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর করোনা মহামারির মধ্যে গত রোববার বলিভিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এতে এমএএস পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী লুইজ আরসে বড় জয় পেয়েছেন।
বলিভিয়ার নির্বাচন কমিশন গতকাল আরসের বিজয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এমএএস পার্টির প্রতিষ্ঠাতা নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস গত বছরের অক্টোবরে বিতর্কিত পুনর্নির্বাচনের জেরে বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন। পরে মেক্সিকোয় আশ্রয় নেন। ধারণা করা হচ্ছিল, তাঁর দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী লুইজ আরসের বিজয় নিশ্চিত হলে মোরালেসের দেশে ফেরার পথ উন্মুক্ত হতে পারে।
মোরালেস ২০০৬ সালে প্রথম আদিবাসী হিসেবে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। গত বছরের ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি সামান্য ভোটের ব্যবধানে চতুর্থ মেয়াদে বিজয়ী হওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু এ নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠলে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দানা বাঁধে। বিক্ষোভে তিনজন নিহত ও কয়েক শ মানুষ আহত হয়।
নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে ইভো মোরালেস পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন—এমন অভিযোগে বিক্ষোভ শুরু হয় দেশটিতে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী প্রথমে তাঁর প্রতি অনুগত থাকলেও পরে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে মোরালেস পদত্যাগের ঘোষণা দেন। অভিযোগ করেছেন, তিনি ‘অভ্যুত্থানের’ শিকার এবং তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।