কলম্বিয়ায় বসবাসরত প্রায় ১০ লাখ অনিবন্ধিত ভেনেজুয়েলার নাগরিক অভিবাসী সুরক্ষা মর্যাদা পাবেন। আগামী ১০ বছর এ ভেনেজুয়েলার নাগরিকেরা এ সুরক্ষা পাবেন বলে জানিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান ডিউক। আর এ সময়ের মধ্য তাঁরা কলম্বিয়ায় স্বাভাবিক জীবন যাপনও করতে পারবেন। কলম্বিয়া সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ভেনেজুয়েলার অভিবাসীরা অর্থ উপার্জন, চিকিৎসার সুযোগ পাবেন এবং স্থায়ী নাগরিক হতে পারবেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের এ হিসাবে বলা হয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে ৫০ লাখের বেশি মানুষ ভেনেজুয়েলা ছেড়ে পালিয়ে কলম্বিয়ায় যায়। এরপর থেকে তাঁরা সেখানেই আছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি কলম্বিয়ার এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। গত সোমবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গ্র্যান্ডি বলেন, কলম্বিয়ার এ সিদ্ধান্তটি বিশ্বের জন্য ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত বলে বিবেচিত হবে।
সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ডিউক বলেছেন, ‘আমরা আশা করি যে অন্য দেশগুলোও আমাদের উদাহরণ অনুসরণ করবে।’
আন্তর্জাতিকভাবে সহায়তা কামনার চার দিন পরই কলম্বিয়া সরকার এ ঘোষণা দিল। তবে অনিবন্ধিত এসব ভেনেজুয়েলাবাসীর করোনার টিকা দেওয়া হবে না। কলম্বিয়ার ৫ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখের মতো। আর দেশটিতে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫৬ হাজার।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লাখো মানুষ ভেনেজুয়েলা থেকে পালিয়ে কলম্বিয়ায় গেছেন। কারণ, সেখানে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং খাদ্য, চিকিৎসা–জ্বালানির মতো প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংকটের কারণে লোকজন ভেনেজুয়েলা ছেড়ে যান।