ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে একটি যাত্রীবাহী বাস জিম্মি করার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের দাবি, বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। যাত্রীরা সবাই নিরাপদে আছেন বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করার বিষয়টি টুইট করে নিশ্চিত করেছে ব্রাজিলের পুলিশ। কোনো যাত্রী আহত হননি বলেও জানানো হয়েছে টুইটে। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিম্মি করা বাসটিতে প্রায় ৩১ জন যাত্রী ছিলেন। চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বন্দুকধারী ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে যাত্রীবাহী একটি বাস নিজের জিম্মায় নেন অস্ত্রধারী এক ব্যক্তি। জিম্মি করেই বাসের যাত্রীদের নানা হুমকি-ধমকি দিতে শুরু করেন তিনি। তবে কেন তিনি বাসটি নিজের জিম্মায় নিয়েছিলেন, কিংবা প্রশাসনের কাছে কোনো দাবি করেছিলেন কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি সংবাদমাধ্যমগুলো।
বিবিসিতে বলা হয়েছে, বাসে উঠে তিনি যাত্রীদের কাছে নিজেকে সাবেক মিলিটারি পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তিনি আসলেই সাবেক পুলিশ ছিলেন কি না সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এক সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সশস্ত্র বাহিনী বাসটিকে চারদিক থেকে ঘিরে রয়েছে। ফুটেজে আরও দেখা গেছে, হাতে একটি পেট্রল বোমা সদৃশ বস্তু নিয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে আসছেন বন্দুকধারী ব্যক্তি। বন্দুকধারী গুলি চালানোর আগেই ছয়জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন যাত্রীকে উদ্ধার করার পরপরই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে বেলা সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশি অভিযানে নিহত হন ওই বন্দুকধারী। পুলিশ জানিয়েছে, গুলি করার আগে বন্দুকধারী ব্যক্তির সঙ্গে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করা হয়েছিল।
এর আগে যাত্রীদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে টুইট করেছিল পুলিশ। টুইটে বলা হয়, ‘আমাদের অফিসারেরা প্রত্যেকেই খুব দক্ষ। এ সব পরিস্থিতি সামলানোর অনেক অভিজ্ঞতা তাঁদের আছে।’
রিওর গভর্নর উইলসন উইটজেল টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতির খোঁজ নিচ্ছিলেন। মিলিটারি পুলিশের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছিলেন বলেও জানান তিনি। উইটজেল টুইটে বলেন, ‘আমাদের একমাত্র প্রাধান্য ছিল যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করা।’
রিও ডি জেনেরিওতে বাস জিম্মি করার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ২০০৬ সালেও এক বন্দুকধারী ব্যক্তি ১০ ঘণ্টা একটি যাত্রীবাহী বাস জিম্মি করে রেখেছিলেন। পরে আত্মীয়-স্বজনেরা এসে শান্ত করায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।