বিচ্ছিন্ন অঞ্চলটিতে করোনার কঠিন দাপট

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

চিলির প্যাটাগোনিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল মাগালানসে নতুন করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবে অস্বাভাবিকতা দেখছেন বিজ্ঞানীরা। প্রশ্ন উঠেছে, বিচ্ছিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলটিতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার হার এত বেশি কেন? ওই অঞ্চলে করোনার সম্ভাব্য রূপান্তর নিয়ে বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে গবেষণা শুরু করেছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। দ্য প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশন নামের একটি সংস্থা চিলির এই গবেষকদলকে সহায়তা দিচ্ছে। বিশেষ করে কোভিড-১৯-এর নতুন এই রূপ আগের তুলনায় বেশি সংক্রামক কি না সেটা জানার জন্য।

মাগালানসে চিলির মোট জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশের বসবাস। কিন্তু দেশটিতে সংক্রমণের হিসাব বলছে, চিলিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ২০ শতাংশই মানুষ ওই এলাকার। যেটি নির্দিষ্ট করে ওই এলাকায় ভাইরাসটির রূপ বদলের কারণে হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। অন্যান্য অঞ্চলেও প্রায় একই রকমের রূপান্তর লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু গবেষকেরা মানবদেহে রূপান্তরিত এই করোনার প্রভাব কিংবা ফলাফল এখনো বুঝে উঠতে পারেননি।

চিলি থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক লুসিয়া নিউম্যান জানান, সপ্তাহখানেক আগে মাগালানসে করোনা সংক্রমিত হওয়ার হার আর চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে সংক্রমণের হার প্রায় সমান ছিল। যেখানে চিলির মোট জনসংখ্যার তুলনায় মাগালানসে জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে কম। অঞ্চলটির মোট জনসংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার। আর রাজধানী সান্তিয়াগোর মোট জনসংখ্যা প্রায় ৮০ লাখ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর অনেক কারণ হতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম ওই এলাকার আবহাওয়া। তবে ভাইরাসটির রূপান্তরকেও এর অন্যতম কারণ হিসেবে বাতিল করছেন না তাঁরা।

বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের হাউস্টনে নতুন করোনাভাইরাসের দুটি ঢেউ আঘাত করেছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভাইরাসটি অতিমাত্রায় সংক্রামক। যদিও দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী ভাইরাসটি আগের তুলনায় খুব বেশি গুরুতর নয় বলে বিজ্ঞানীদের দাবি।

ইউনিভার্সিটি অব মাগালানসের গবেষক মার্সেলো নাভারেত্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘বিশ্বে অতিমাত্রায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণগুলোর নানা কারণের মধ্যে অন্যতম হলো ঠান্ডা ও বাতাস।’