পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় লাতিন আমেরিকার দেশ হন্ডুরাসের একজন ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ওই ছাত্রী নার্সিংয়ের ওপর পড়াশোনা করছিলেন।
গত শনিবার রাতে কিলা মার্টিনিজ (২৬) নামের ওই ছাত্রীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের কাছে থাকা অবস্থায় ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা বলেছেন, হাসপাতালে আনার আগেই কিলার মৃত্যু হয়েছে। খবর বিবিসির।
আটকের কারণ হিসেবে অবশ্য পুলিশ দাবি করেছে, কিলা মার্টিনিজ কারফিউ লঙ্ঘন করেছেন এবং তাঁকে মাতাল অবস্থায় আটক করা হয়েছে।
মহামারি প্রতিরোধের জন্য হন্ডুরাসের সরকার কারফিউ জারি করেছে।
শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় হন্ডুরাসে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমে পুলিশ বলেছিল যে এটি আত্মহত্যা। তবে ময়নাতদন্ত দেখা গেছে, তাঁর মৃত্যুকে হত্যা বলার যথেষ্ট কারণ আছে।
আটকের পর মার্টিনিজকে একটি পুলিশ কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে দায়িত্ব পালনরত এক নারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মেয়েটির শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। এরপর পুলিশ কর্মকর্তারা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, মার্টিনিজকে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান।
মার্টিনিজ ছুটিতে তাঁর নিজের শহর লা এস্পেরঞ্জায় আসেন। তাঁর পরিবার বলেছে যে গত শনিবার সন্ধ্যায় সে বন্ধুদের সঙ্গে বের হয়েছিল। রাতে তাঁকে তাঁর চিকিৎসক বন্ধুর সঙ্গে গাড়িতে দেখা যায়।
পুলিশ অভিযোগ করেছে, মার্টিনিজ অন্য বন্ধুদের জন্য অপেক্ষা করার সময় শনিবার রাতে কারফিউ লঙ্ঘন করেন। কর্মকর্তারা আরও দাবি করেছিলেন, তিনি মাতাল ছিলেন।
মার্টিনিজ ও তাঁর বন্ধুকে স্থানীয় থানায় পৃথক কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল।
পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক পুলিশ কর্মকর্তা তাঁকে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে দেখেন। পুলিশ বলছে, যখন তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, তখন তিনি জীবিতই ছিলেন। এরপর হাসপাতালে পৌঁছালে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।