জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে রোববার মেরিনো পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
গত মঙ্গলবার তিনি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। মেরিনোর পদত্যাগের ঘোষণার পরই পেরুর রাজধানীজুড়ে আনন্দ শুরু হয়ে যায়। গাড়িতে হর্ন বাজিয়ে আনন্দ করতে থাকে লোকজন।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের প্রতি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুড়ে তার জবাব দেয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এ বিক্ষোভ দেশটির দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। প্রেসিডেন্ট ভিজকারাকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অভিশংসন করা হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ম্যানুয়েল মেরিনো। কিন্তু সাবেক প্রেসিডেন্ট তাঁর বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। মূলত এর পর থেকেই ধীরে ধীরে উত্তাল হতে থাকে পেরু।
দুর্নীতির অভিযোগে অভিশংসিত পেরুর প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারার পক্ষে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন হাজারো সমর্থক। দেশটিতে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ২৭ জন আহত হয়েছেন। পেরুর রাজধানী লিমাসহ কয়েকটি শহরে এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেশটির বিভক্ত কংগ্রেস ও প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল মেরিনোর নতুন সরকারের ওপর চাপ বাড়ছিল। শনিবার দুজন নিহত হওয়ার পরই ম্যানুয়েল মেরিনো সরে দাঁড়ালেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা। এতে দোকানপাটের জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পেরুর সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভ দুই দশকের মধ্যে সর্ববৃহৎ।
পেরুর প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৫৭ বছর বয়সী আইনপ্রণেতা মার্টিন ভিজকারার। তিনি ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় হলেও কংগ্রেসে তাঁর পক্ষের লোক ছিলেন না।
কংগ্রেসের প্রধান পপুলার অ্যাকশন দলের সদস্য মেরিনো গত বৃহস্পতিবার তাঁর নতুন মন্ত্রিসভায় শপথ নেয়।
এর আগে মেরিনো আগামী বছরের ১১ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণের কথা জানিয়েছিলেন। তত দিন পর্যন্ত সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।