আর্জেন্টিনায় টিকা পাচ্ছিলেন শুধু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। করোনার টিকা দেওয়া নিয়ে কেলেঙ্কারিতে পদত্যাগ করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী গিনেস গঞ্জালেস গার্সি। সেখানে নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে গতকাল শনিবার দায়িত্ব নিয়েছেন কার্লা ভিজোত্তি। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তিনি টিকার ন্যায্য বণ্টনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আর্জেন্টিনার নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, তিনি টিকাদান কর্মসূচি বিষয়ে নজরদারি বাড়াবেন এবং এ বিষয়ে স্বচ্ছতা আনতে কাজ করবেন।
এর আগে গত শুক্রবার টিকা কেলেঙ্কারিতে গঞ্জালেস গার্সি পদত্যাগ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বন্ধু পরিচয় দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে এক ব্যক্তির করোনার টিকা নেওয়ার তথ্য ফাঁস হওয়ার পর তাঁর ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ে। আর্জেন্টাইন প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজের নির্দেশের পর প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নতুন দায়িত্ব পাওয়া ভিজোত্তি (৪৭) একজন চিকিৎসক ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ। দায়িত্ব গ্রহণের পর টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা টিকাদানের বিষয়গুলো শক্তিশালী করব এবং ন্যায্য টিকা প্রাপ্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারি।’
ভিজোত্তি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত যে আমরা আমাদের ইতিহাসের বৃহত্তম টিকা দেওয়ার পরিকল্পনাটি সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বাস্তবায়ন করি। এ ছাড়া আর্জেন্টিনার প্রত্যেক নাগরিকের মনে যেন এ ধারণা জন্মে যে আমরা সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করেছি।’
আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলির পক্ষ থেকে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
সাড়ে চার কোটির বেশি জনসংখ্যার দেশটি এখন পর্যন্ত ১২ লাখ ২০ হাজার ডোজ রাশিয়ার স্পুতনিক-ভি টিকা পেয়েছে। এর বাইরে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে দেশটি ৫ লাখ ৮০ হাজার ডোজ টিকা পেয়েছে।
এর আগে পেরুতেও করোনার টিকা নিয়ে দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছিল। টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগেই অনেক মন্ত্রী টিকার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। এ ছাড়া সেখানে গোপনে প্রায় ৫০০ জন টিকাও নিয়ে ফেলেছিলেন।