আগামী বছর এপ্রিলে পদত্যাগ করবেন কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো। এর আগে তাঁর উত্তরসূরি বাছাই করবে দেশটির শীর্ষ গভর্নিং কাউন্সিল।
রাউলের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে কমিউনিস্টশাসিত কিউবায় দীর্ঘ ছয় দশকের কাস্ত্রো শাসনেরও অবসান ঘটবে। গত বছর মারা যান তাঁর ভাই বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রো। বামপন্থী বিপ্লবের সফল পরিণতি হিসেবে ১৯৫৯ সালে কিউবার শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন ফিদেল। রাউলের ক্ষমতা গ্রহণের আগ পর্যন্ত তিনিই দেশ শাসন করে গেছেন। রাউল ক্ষমতা ছাড়ার পর ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-কানেল (৫৭) তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কিউবার জাতীয় পরিষদে (পার্লামেন্ট) বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত অধিবেশনে রাউলের পদত্যাগের ওই সময়সীমা বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসে। গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাউল (৮৬) তাঁর প্রত্যাশিত মেয়াদের চেয়ে দুই মাস বেশি ক্ষমতায় থাকবেন।
এএফপির খবরে বলা হয়, অধিবেশনে রাউল কাস্ত্রো বলেছেন, যখন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি গঠিত হবে (আগামী এপ্রিল) তখন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান হিসেবে আমার দ্বিতীয় ও শেষ মেয়াদেরও পরিসমাপ্তি ঘটবে। সে সময় কিউবা একজন নতুন প্রেসিডেন্ট পাবে।
কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত কিউবার নির্বাচনী বিধিমালা মোতাবেক প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করতে হবে। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে দেশটিতে আঘাত হানা শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার প্রেক্ষাপটে আগামী বছরের নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে পিছিয়ে গেছে।
কিউবার ‘কাউন্সিল অব স্টেট’ নামে পরিচিত ৩১ সদস্যের শীর্ষ গভর্নিং কাউন্সিল (পরিচালনা পর্ষদ) নির্দিষ্ট মেয়াদে এ পর্ষদের একজন প্রধান বাছাই করে থাকে। ক্ষমতাবলে তিনিই দেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান। তবে প্রথমে এ পর্ষদকে পার্লামেন্টের প্রায় ৬০০ সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হতে হয়। এ প্রক্রিয়া আগামী বছরের ১৯ এপ্রিল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। অবশ্য নতুন পার্লামেন্ট কখন গঠিত হবে সেই তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
দুই বছরের জন্য কিউবার অন্তর্বর্তীকালীন নেতার দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাউল। এরই মধ্যে রাউল ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি নতুন মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে চাইবেন না।