মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চল থেকে ১২ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বিরুদ্ধে গত মাসে একদল অভিবাসীকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। বিবিসির খবর।
গত ২২ জানুয়ারি টামাউলিপাস রাজ্যের যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তবর্তী এলাকায় পুড়ে যাওয়া একটি গাড়ির ভেতর থেকে ১৯ অভিবাসীর লাশ পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, তাঁরা সবাই মধ্য আমেরিকা থেকে মেক্সিকোয় ঢুকেছিলেন।
তদন্তকারী ব্যক্তিরা মনে করছেন, অভিবাসীদের পাচার করার কাজে ব্যবহৃত ওই এলাকার কয়েকটি পথের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিভিন্ন অপরাধী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে এসব অভিবাসীকে মেরে ফেলা হয়।
টামাউলিপাস রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ইরভিং ব্যারোস মোজাইকা বলেছেন, গ্রেপ্তার পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকা ও ক্ষমতা অপব্যবহার করার অভিযোগ আনা হবে।
নিহত অভিবাসীদের মধ্যে গুয়াতেমালার দুজন তরুণ ফুটবল খেলোয়াড়ও আছেন। নিহত অন্য অভিবাসীরাও গুয়াতেমালার নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরেনসিক পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, প্রথমে তাঁদের গুলি করা হয়, এরপর পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহত অভিবাসীদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও ১ জন নারী ছিলেন। বাকি দুজন এমনভাবে পুড়ে যান যে তাঁরা নারী না পুরুষ, তা শনাক্ত করা যায়নি। তবে ডিএনএ পরীক্ষা থেকে জানা যায়, এ দুজনের একজন মেক্সিকোর ও অপরজন গুয়াতেমালার নাগরিক।
অভিবাসী দলটিকে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করার কাজে দলটিরই দুজন সদস্য ও মেক্সিকোর নাগরিক জড়িত ছিলেন কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
নিহত অভিবাসীদের মধ্যে গুয়াতেমালার দুজন তরুণ ফুটবল খেলোয়াড়ও আছেন। নিহত অন্য অভিবাসীরাও গুয়াতেমালার নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরেনসিক পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, প্রথমে তাঁদের গুলি করা হয়, এরপর পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
ওই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কৌঁসুলিরা বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের দিন গুয়াতেমালা ও সালভাদরের কিছু অভিবাসীকে নিয়ে কয়েকটি গাড়ি যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখে যাচ্ছিল। গাড়িগুলো ঘিরে ছিলেন বেশ কিছু সশস্ত্র ব্যক্তি।