বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ অগ্ন্যুৎপাত

ভিসুভিয়াস কিংবা পম্পেই আগ্নেয়গিরির নাম শুনলে অনেকের চোখের সামনে হয়তো ধ্বংসাত্মক ছবিই ভেসে উঠবে। তা স্বাভাবিকও। কেননা, আগ্নেয়গিরি থেকে জ্বলন্ত লাভার উদ্‌গিরণ বা অগ্ন্যুৎপাত যে শুধু ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগ তা-ই নয়, এগুলো অনেক সময় প্রাণঘাতীও হয়ে ওঠে। বিশ্বজুড়ে দেড় হাজারের বেশি আগ্নেয়গিরি সক্রিয় আছে। প্রতি সপ্তাহে গড়ে একটিতে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে। তবে সবচেয়ে বড় অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা কোনগুলো? এতে কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে? গত ২০০ বছরে বড় বড় অগ্ন্যুৎপাতের তথ্য সংগ্রহের মধ্য দিয়ে বিশ্বের  সবচেয়ে বড় অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনাগুলো তালিকাভুক্ত করেছে ব্রিটিশ সাময়িকী বিবিসি সায়েন্স ফোকাস।অগ্নুৎপাতগুলো কতটা শক্তিশালী ছিল তা তুলনা করতে ভলকানিক এক্সপ্লোসিভিটি ইনডেক্স (ভিইআই) ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি অগ্ন্যুৎপাতে কী পরিমাণ বস্তু নির্গত হয়েছে তা পরিমাপে ব্যবহার করা হয়েছে ডেনস রক ইকুইভ্যালেন্ট স্কেল (ডিআরই)।
তালিকা অনুযায়ী বড় অগ্ন্যুৎপাতগুলোর তথ্য পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:

তাম্বোরা মাউন্ট আগ্নেয়গিরি

তাম্বোরা মাউন্ট আগ্নেয়গিরি
ছবি: এপি ফাইল ছবি

তাম্বোরা মাউন্ট আগ্নেয়গিরিতে ১৮১৫ সালে মানব ইতিহাসে এ পর্যন্ত জানা সবচেয়ে বড় অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছিল। ইন্দোনেশিয়ার সুম্বাওয়া দ্বীপে এ আগ্নেয়গিরির অবস্থান। এর আগে কয়েক শতাব্দী ধরে আগ্নেয়গিরিটি সুপ্ত অবস্থায় ছিল। ১৮১৫ সালের ৫ এপ্রিল সর্বপ্রথম অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয় এটিতে। তখন টনে টনে ছাই বের হয় আগ্নেয়গিরিটি থেকে। তখন পুরো আগ্নেয়গিরিটি যেন আগুনে পর্বতে পরিণত হয়েছিল। সেখান থেকে বড় বড় পাথর গিয়ে আশপাশের এলাকাগুলোতে পড়ে। অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট গরম ঘূর্ণিবায়ুর কারণে আগ্নেয়গিরির আশপাশের গ্রামগুলো ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। চার মাসের বেশি সময় ধরে এ অগ্ন্যুৎপাত চলেছে। এ অগ্ন্যুৎপাতের কারণে তাম্বোরা পর্বতের উচ্চতাও এক-তৃতীয়াংশ কমে যায়। শুধু তা-ই নয়, অগ্ন্যুৎপাতের কারণে এত বেশি ছাই ও গ্যাস বায়ুমণ্ডলে ভেসে বেড়াচ্ছিল যে তা বড় এলাকাজুড়ে সূর্যকে আড়াল করে ফেলেছিল। দীর্ঘ মেয়াদেও এ অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাব আছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরে বিশ্বে ব্যাপক খাদ্যসংকট দেখা দেয়। ১৮১৬ সালটি ‘গ্রীষ্মকালবিহীন বছর’ হিসেবে আখ্যা পেয়েছিল। বলা হয়ে থাকে, এ অগ্ন্যুৎপাতকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে ৭১ হাজার মানুষ খাদ্যাভাবে মারা গিয়েছিলেন।

নোভারুপতা আগ্নেয়গিরি

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় নোভারুপতা আগ্নেয়গিরির অবস্থান

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় নোভারুপতা আগ্নেয়গিরির অবস্থান। ১৯১২ সালে এখানে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। এটি বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা। এ অগ্ন্যুৎপাত তিন দিন স্থায়ী হয়েছিল। তবে এ কয়েক দিনেই এই আগ্নেয়গিরি থেকে যে পরিমাণ লাভা বের হয়ে আসে, তা ছিল ১৯৮০ সালে মাউন্ট সেন্ট হেলেনস অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনার তিন গুণ। এ ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ ঘটনার সরাসরি প্রভাব পড়েছিল বন্যপ্রাণী, বিশেষ করে পাখি কূলের ওপর। গত ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে নোভারুপতা আগ্নেয়গিরি ও এর আশপাশের এলাকা নিয়ে গবেষণা হয়েছে।

ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি

১৮৮৩ সালে ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়

১৮৮৩ সালে ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। খুব সম্ভবত মাউন্ট ভিসুভিয়াসের পর এটিই সবচেয়ে পরিচিত অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা। ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়েছে ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরিতে।এতে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে সুন্দা প্রণালি জুড়ে শিলাখণ্ড ছিটকে পড়ে। এ অবস্থায় ওই পথে যাঁরা ছিলেন, মারা গেছেন। বিস্ফোরণগুলোর মধ্যে তৃতীয়টির শব্দ এত বেশি ছিল যে ৩ হাজার কিলোমিটার দূরে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকেও এ শব্দ শোনা গেছে। আবার, আগ্নেয়গিরি থেকে যে ছাইগুলো উদ্‌গিরণ হয়, তা এত ঘন ছিল যে এর আড়ালে বড় এলাকাজুড়ে সূর্য ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। এতে পাঁচ বছর ধরে বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমে গিয়েছিল। এ অগ্নুৎপাতকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে সূর্যাস্তের দৃশ্যেও পরিবর্তন এসেছিল, যেমনটা এডভার্ড মুঞ্চের আঁকা ‘দ্য স্ক্রিম’-এর মতো অনেক বিখ্যাত চিত্রকর্মে দেখা গেছে।

সান্তা মারিয়া আগ্নেয়গিরি

দীর্ঘ সময় ধরে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকার পর ১৯০২ সালে সান্তা মারিয়াতে আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। আকস্মিক এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা হতভম্ব হয়ে পড়েছিলেন। কয়েকটি বড় বড় ভূমিকম্পকে কেন্দ্র করে ওই অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছিল। এ ঘটনায় ৭ হাজার থেকে ১৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ১৯ দিন ধরে এ অগ্ন্যুৎপাত স্থায়ী হয়েছিল। আগ্নেয়গিরি থেকে উদ্‌গিরণ হওয়া ছাই এত ঘন আবরণ তৈরি করেছিল যে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকাগুলো ৫৩ ঘণ্টা ধরে অন্ধকারে ঢাকা পড়েছিল। ৪ হাজার কিলোমিটার দূরে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতেও সে ছাইয়ের ঘন মেঘ তৈরি হয়েছিল।

পিনাতুবো আগ্নেয়গিরি

ফিলিপাইনের সবচেয়ে বড় দ্বীপ লুজনে মাউন্ট পিনাতুবো আগ্নেয়গিরির অবস্থান। ১৯৯১ সালে জুনের মাঝামাঝি সময়ে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি বড় অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে সেখানে। আগ্নেয়গিরির থেকে পাথর উদ্‌গীরিত হয়ে আশপাশের এলাকায় ছিটকে পড়েছে, ছাইয়ের ঘন আস্তরণ তৈরি হয়েছে। এ অগ্নুৎপাতকে কেন্দ্র করে কয়েক শ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে প্রাণঘাতী উত্তপ্ত ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
তবে আগাম সতর্কতা এবং লোকজনকে ওই এলাকা থেকে সরানোর উদ্যোগ নেওয়ার কারণে অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় ১ হাজার ২০২ জন নিহত হন। এ আগ্নেয়গিরি থেকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগমা বের হয়ে উপত্যকাগুলো ভরাট হয়ে গিয়েছিল। এতে বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে শহর ও গ্রামগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। এর মধ্যেই আবার ফিলিপাইনে আঘাত হানে টাইফুন ইউনিয়া। এতে পিনাতুবো আগ্নেয়গিরি চূড়ান্তরকমের সক্রিয় হয়ে ওঠে। প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে আগ্নেয়গিরির ধুলো এবং ছাই মিশে যায়। আগ্নেয়গিরি থেকে বের হওয়া বিভিন্ন বস্তু বাতাসে উড়ে বিশাল এলাকাজুড়ে পড়তে থাকে। এতে ওই কৃষি অঞ্চলের বিশাল এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

হুনগা টোঙ্গা-হুনগা হাপাই আগ্নেয়গিরি

২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারি টোঙ্গাতে পানির নিচে হুনগা টোঙ্গা-হুনগা হাপাই আগ্নেয়গিরিটিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়  

২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারি টোঙ্গাতে পানির নিচে হুনগা টোঙ্গা-হুনগা হাপাই আগ্নেয়গিরিটিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে কয়েক দফায় অগ্ন্যুৎপাতের পর সর্বপ্রথম আগ্নেয়গিরিটি দৃশ্যমান হয়েছিল। ওই সব অগ্ন্যুৎপাতের কারণে দুটি দ্বীপ গড়ে ওঠে। পরে ধীরে ধীরে এ দুটি দ্বীপ যুক্ত হয়ে পানির ওপরে একটি শক্ত ভূমিতে পরিণত হয়। তবে সর্বশেষ অগ্ন্যুৎপাতটি পুরো দ্বীপকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। এ অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ছাইয়ের একটি বিশাল কুণ্ডলী আকাশে ২০ কিলোমিটার উঁচু পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। ওই অগ্নুৎপাতকে কেন্দ্র করে প্রশান্ত মহাসাগরে বড় রকমের একটি সুনামি হয়েছিল। এ ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থার (নাসা) এক  প্রতিবেদনে বলা হয়, অগ্নুৎপাতকে কেন্দ্র করে বায়ুমণ্ডলে বিপুল পরিমাণ জলীয় বাষ্প নির্গত হয়েছে। এতে ২০২৩ সালে পৃথিবীর ওজোন স্তরের গর্তটি আরও বড় হয়ে পড়েছে।

কুইজাপু আগ্নেয়গিরি

চিলির দক্ষিণ আন্দেসে কুইজাপু আগ্নেয়গিরিটির অবস্থান। ১৯৩২ সালের ১০ এপ্রিল কুইজাপু আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। এতে বায়ুমণ্ডলে ঘন ছাইয়ের আস্তরণ তৈরি হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিপুল পরিমাণ লাভা। আর্জেন্টিনার কিছু অংশেও ছাই ছড়িয়ে পড়েছিল। এসব এলাকায় লাপিলি নামে ছোট ছোট পাথর গিয়ে পড়েছিল।

কুইজাপু আগ্নেয়গিরিটির অবস্থান একেবারেই দুর্গম এলাকাতে হওয়ায় এই অগ্ন্যুৎপাতে মানুষের ক্ষতি অনেকটাই কম হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ প্রাণ হারায়নি। তবে এলাকার গাছপালা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সেগুলো আবার বেড়ে উঠতে ৬০ বছরেরও বেশি সময় লেগেছিল।

মাউন্ট হাডসন আগ্নেয়গিরি

হাডসন আগ্নেয়গিরিটি চিলির সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির একটি। তবে এখানে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে ১৯৯১ সালে। এটি বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে শক্তিশালী অগ্নুৎপাতগুলোর একটি। একপর্যায়ে আগ্নেয়গিরির ভেতর থেকে নির্গত পাথরগুলো ১৮ কিলোমিটার উঁচু পর্যন্ত উঠেছে এবং এক হাজার কিলোমিটার দূরে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে গিয়ে পড়েছে। আগ্নেয়গিরিটি সক্রিয় হয়ে ওঠার প্রথম লক্ষণ দেখা যাওয়া মাত্রই স্থানীয় বাসিন্দাদের এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এতে এ ঘটনায় মানুষের প্রাণহানি ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। তবে আগ্নেয়গিরির ছাই উড়ে গিয়ে কাছাকাছি কৃষিজমিতে পড়ার কারণে সেখানে ঘাস খেতে থাকা হাজার হাজার পশু মারা গেছে।

এল চিচন আগ্নেয়গিরি

মেক্সিকোর চিয়াপাস রাজ্যে এল চিচন আগ্নেয়গিরিটিকে দীর্ঘদিন ধরে সুপ্ত বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। ৬০০ বছরের বেশি সময় সেখানে কোনো অগ্ন্যুৎপাত না হলেও ১৯৮২ সালের প্রথম ভাগে আগ্নেয়গিরিটি জানান দেয় এটি আর সুপ্ত নেই। ওই বছরের ২৮ মার্চ ওই আগ্নেয়গিরিতে ব্যাপক অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। তবে কয়েক দিন পর এল চিচনকে দেখে মনে হচ্ছিল এখানে অগ্ন্যুৎপাত থেমে গেছে। নিরাপদে সরে যাওয়া বাসিন্দারা আবারও ওই এলাকায় ফিরতে শুরু করেন। তবে আসলে তখনো অগ্ন্যুৎপাত শেষ হয়নি। ৪ এপ্রিল আগ্নেয়গিরি থেকে উত্তপ্ত গ্যাস, ছাই ও পাথরের মিশ্রণ উদ্‌গিরণ হতে থাকে। এতে ১ হাজার ৯০০ মানুষ প্রাণ হারায়। ওই অগ্ন্যুৎপাতের কারণে বিপুল পরিমাণ সালফার ডাই অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে মিশে গিয়েছিল।

মাউন্ট সেন্ট হেলেনস আগ্নেয়গিরি

১৯৮০ সালে মাউন্ট সেন্ট হেলেনস আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়  

১৯৮০ সালের ১৮ মে সকালে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শক্তিতে মাউন্ট সেন্ট হেলেনস আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। তার আগে কয়েক মাস ধরেই বড় অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার মতো বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল। কারণ, অগ্ন্যুৎপাতের আগে কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছিল। এতে বোঝা যাচ্ছিল যে আগ্নেয়গিরির ভেতরের ম্যাগমাগুলো নড়াচড়া করছে। অগ্ন্যুৎপাত যে আসন্ন তা বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু সেখানে এত বড় বিস্ফোরণ যে হবে তা কেউ অনুমান করতে পারেনি।অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ৬০০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে যা কিছু ছিল সব ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ও প্রাণঘাতী অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা। এ ঘটনায় ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।