নিয়মিত চিচিঙ্গা চাষ করেন ডি অ্যাঞ্জেলা। একবার গাছ লাগানোর পর পুরো পরিবার বেড়াতে চলে যান। ফিরে এসে চোখ তো চড়কগাছ। দেখেন, গাছের চিচিঙ্গা অনেক লম্বা হয়ে গেছে। পরে এ নিয়ে মেয়ে এক প্রতিযোগিতায় হাজির হয়ে পেয়ে যান পুরস্কার। কারণ, তাঁর নিয়ে যাওয়া চিচিঙ্গাটি ছিল সেখানে সবচেয়ে লম্বা।
সেই থেকে লম্বা, সবুজ চিচিঙ্গা চাষে উৎসাহী হয়ে ওঠেন ডি অ্যাঞ্জেলা, যা কানাডার অন্টারিওতে স্থানীয়ভাবে সিসিলিয়ান কুকুজা স্কোয়াশ নামে পরিচিত।
কানাডার অন্টারিওর ডি অ্যাঞ্জেলা এবার তাঁর গাছ থেকে যে চিচিঙ্গা কেটেছেন, সেটির দৈর্ঘ্য ৮ ফুট ৪ দশমিক ৭৯ ইঞ্চি। সম্ভবত এই চিচিঙ্গা বিশ্ব রেকর্ড গড়তে পারে। এরই মধ্যে ডি অ্যাঞ্জেলা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের জন্য আবেদন করেছেন।
বর্তমানে যে রেকর্ড আছে, সেটির দৈর্ঘ্য ৮ ফুট ৩ দশমিক ৩ ইঞ্চি। ২০১৪ সালের অন্টারিও নায়াগ্রা জলপ্রপাত এলাকায় বসবাসরত জন জিওভান্নি স্কোজ্জাফাভিইন এই রেকর্ডের মালিক।
ডি অ্যাঞ্জেলা থোরোল্ড টুডেকে বলেন, ‘আমি সবচেয়ে দীর্ঘ চিচিঙ্গা চাষ করব, এই ইচ্ছা থেকে এমনটা করিনি। মনে হয়, এটি এলাকার কারণে হয়েছে। এই এলাকায় আমি কখনো চাষ করিনি। এখানকার মাটি চমৎকার। এটি সত্যি আশ্চর্যের ব্যাপার।’
ডি অ্যাঞ্জেলা বলেন, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে কিছু না বলা পর্যন্ত তিনি এই চিচিঙ্গা তাঁর গ্যারেজে রেখে দেবেন।
এত লম্বা চিচিঙ্গা হওয়ার পেছনের রহস্যটা কী, জানতে চাইলে অ্যাঞ্জেলা বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রচুর পানি। এ ছাড়া আমি এর গোড়ায় প্রয়োজনীয় সার দিয়েছি।’
সিটি কাউন্সিলের সদস্য ডি অ্যাঞ্জেলা বলেন, এক দশকের বেশি সময় ধরে চিচিঙ্গা চাষ করছেন তিনি।
বাড়ির পেছনের আঙিনায় ডি অ্যাঞ্জেলা সবজি চাষ করেন। এ বছর তিনি ভেবেছিলেন, বাড়ির পাশেও কিছু গাছ লাগাবেন। ডি অ্যাঞ্জেলা বলেন, এখানে সবকিছুর ফলন ভালো হয়। কারণ, সারা দিন রোদ থাকে।
যখন চিচিঙ্গাটিকে বেশ বড় হতে দেখেন, তখনই ডি অ্যাঞ্জেলা এটিকে বাড়ির ছাদের খুঁটির সঙ্গে দড়ি দিয়ে উঁচু করে বেঁধে দেন, যাতে মাটিতে না লাগে।