বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচন ঘটে অনেক কিছুর। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। রোজকার সব ঘটনা কি আমরা মনে রাখি? তবে কিছু বিষয় স্থায়ীভাবে দাগ কাটে মানুষের মনে, কিছু ঘটনা ইতিহাসের পাতায় উঠে যায়। তেমনই কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ২২ ডিসেম্বর। চলুন দেখি, বিশ্বে এই দিনে কী কী বড় ঘটনা ঘটেছিল। ‘অন দিস ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম।
বার্লিনের ব্র্যান্ডেনবার্গ গেটকে জার্মানির বিভাজন ও দুই জার্মানির আবার একত্রকরণ—উভয়ের প্রতীক বিবেচনা করা হয়। এটি এখনো বার্লিনের প্রধান ঐতিহ্য। শুধু জার্মানি নয়, ইউরোপীয় ঐক্য ও শান্তির প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে ব্র্যান্ডেনবার্গ গেট। সময়টা ১৯৮৯ সালের ২২ ডিসেম্বর, প্রায় ৩০ বছর বন্ধ থাকার পর আবারও চালু করা হয় ব্র্যান্ডেনবার্গ গেট। মূলত স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ও জার্মানির একত্রকরণের লক্ষণ বিবেচনা করা হয় গেটটির চালু করার এই ঘটনাকে।
বিশ্বে বহু আগে থেকেই টয়লেট পেপার ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু এখন যেভাবে গোলাকার কাঠামোর মধ্যে বা রোল আকারে তা পাওয়া যায়, সেটার বিক্রি শুরু হয় ১৮৯১ সালের ২২ ডিসেম্বর। মার্কিন উদ্ভাবক শেথ হুইলার টয়লেট পেপারের এই রোল বানান। এর মধ্য দিয়ে টয়লেট পেপারের ব্যবহার আরও সহজ হয়ে আসে।
বড়দিন ও নববর্ষ উপলক্ষে মাসখানেক আগে থেকেই সেজে ওঠে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত। আর এ সাজসজ্জার সবচেয়ে আকর্ষণীয় উপকরণ ক্রিসমাস ট্রি। বাহারি আলো আর রঙিন সব উপকরণে সাজানো হয় একেকটি ক্রিসমাস ট্রি। ১৮৮২ সালের ২২ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো ক্রিসমাস ট্রি সাজাতে বৈদ্যুতিক বাতির (ক্রিসমাস লাইট) ব্যবহার শুরু হয়। মার্কিন উদ্ভাবক এডওয়ার্ড এইচ জনসন এটা শুরু করেন।
সময়টা ১৭৮৮ সালের ২২ ডিসেম্বর। কুয়াং ত্রুং নিজেকে ভিয়েতনামের নতুন সম্রাট হিসেবে ঘোষণা দেন।