ব্রিকসের সদস্যদেশের নেতারা। গত আগস্টে, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে
ব্রিকসের সদস্যদেশের নেতারা। গত আগস্টে, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে

ব্রিকসের সদস্য হলো সৌদি আরব, ইরানসহ পাঁচ দেশ

বিকাশমান পাঁচ অর্থনীতির দেশের জোট ব্রিকসের সদস্যসংখ্যা বেড়েছে। নতুন করে পাঁচটি দেশ এ জোটের সদস্যপদ পেয়েছে। দেশগুলো হলো সৌদি আরব, ইরান, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইথিওপিয়া।

গতকাল বুধবার ব্রিকসের সদস্য বাড়ানোর ঘোষণা দেন দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী নালেদি পান্দর।

এর আগে গত আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ব্রিকসের ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে এই ৫ দেশ ও আর্জেন্টিনাকে জোটের পূর্ণ সদস্য হতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দেশ ছয়টির সদস্যপদ চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

ব্রিকসের আগের পাঁচ সদস্য হলো ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এখন নতুন ৫টি দেশ সদস্যপদ পাওয়ায় জোটের মোট সদস্য হলো ১০টি দেশ।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে নালেদি পান্দর বলেন, ‘ব্রিকসের সভাপতির পদ আমরা (দক্ষিণ আফ্রিকা) রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করেছি। তার আগে আর্জেন্টিনা, সৌদি আরব, ইরান, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইথিওপিয়া—এই ছয় দেশের পূর্ণ সদস্য হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার এই মন্ত্রী আরও জানান, ব্রিকসের পূর্ণ সদস্য হওয়ার আবেদনপ্রক্রিয়া এগিয়ে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জ্যাভিয়ার মিলেই গত শুক্রবার জানান, তাঁর দেশ ব্রিকসের সদস্য হবে না। মূলত পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার জন্য পররাষ্ট্রনীতিতে বাঁকবদল ঘটানোর প্রতিশ্রুতি পূরণে আর্জেন্টিনা ব্রিকসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কমাতে চাইছে।

২০০৬ সালের জুনে সেন্ট পিটার্সবার্গ অর্থনৈতিক ফোরামে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনের অর্থমন্ত্রীদের এক বৈঠকে ব্রিকস প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১০ সালে এই জোটে যুক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।