দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও অপহরণের নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেশি ও মহাসচিব আসাদ ওমর কারারুদ্ধ। অবিলম্বে গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আজ বুধবার এক টুইট বার্তায় এই আহ্বান জানান পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
ইমরান খান বলেন, আদালতের আদেশ সত্ত্বেও সাংবাদিক ইমরান রিয়াজ খানকে আদালতে হাজির করা হয়নি, এমনকি তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
ইমরান খানকে ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেশটির জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরো (ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো—এনএবি) আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে ১১ মে হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দেন। তবে ইমরান জামিনে মুক্ত হলেও তাঁকে গ্রেপ্তারের পর যেসব দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাঁরা ছাড়া পাননি।
টুইট বার্তায় অবিলম্বে দলের সব নারী নেত্রী, কর্মী এবং নেতা-কর্মীদের পরিবারের নারী সদস্যদের মুক্তির দাবি জানান ইমরান খান। শাহরিয়ার আফ্রিদির স্ত্রীকে কীভাবে কারাগারে যেতে হয়েছে, টুইট বার্তায় সেই প্রশ্ন তোলেন ইমরান খান। তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে ভীতি ছড়াতে এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যাতে তাঁরা তাঁদের সাংবিধানিক অধিকারের জন্য সোচ্চার না হতে পারেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী টুইট বার্তায় অভিযোগ করেন, পুলিশ কর্মকর্তারা সাবেক মানবাধিকারমন্ত্রী শিরিন মাজারির চিকিৎসায় বাধা দিয়েছেন, এমনকি তাঁর মেয়েকেও পুলিশ কর্মকর্তারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। এই খবর শুনে যারপরনাই মর্মাহত।
ইমরান অভিযোগ করেন, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর শিরিন মাজারি ও সিনেটর ফালাক চিত্রালিকে আলিয়ালা কারাগার থেকে অপহরণ করা হয়। পরে তাঁদের সচিবালয় থানায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে শিরিন মাজারির চিৎকার শোনা গেছে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পাকিস্তানজুড়ে বেশ কিছু নারী পার্লামেন্ট সদস্য, দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের কারাগারে রাখা হয়েছে। পুলিশের বাড়াবাড়ির কারণে তাঁরা অমানবিক অবস্থায় আছেন।
ইমরান খান বলেন, অযৌক্তিকভাবে এসব নারীকে কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁদের মুক্তি দিতে হবে। এ ছাড়া এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।