সরকারি ধরপাকড়ের মধ্যেও ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে চায় তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। দলটির শীর্ষপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বলছেন, গত শুক্রবার থেকে দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ সমাবেশের চেষ্টা করছেন তাঁরা। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে শহরগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। তবে এ পরিস্থিতিতে অনেক নেতা-কর্মী রাজধানী ইসলামাবাদ পৌঁছে গেছেন। তাই দলের প্রতিষ্ঠাতা কারাবন্দী নেতা ইমরান খানের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
গতকাল শনিবার ইসলামাবাদে বিক্ষোভে যোগ দিতে আসা খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দারপুর গতকাল রোববার নেতা-কর্মীদের না জানিয়ে ইসলামাবাদ ছেড়ে গেছেন। এর আগে গতকাল তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে গুঞ্জন ছড়ায়। পিটিআই সতর্ক করে বলেছে, গান্দারপুরকে গ্রেপ্তার করা হলে তার প্রভাব হবে গুরুতর।
পিটিআইয়ের রাজনৈতিক কমিটি বলছে, গান্দারপুর গ্রেপ্তার হলে পিটিআইয়ের আরেক নেতা আজত সোয়াতি বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেবেন। তিনি গ্রেপ্তার হলে নতুন আরেকজনের নাম ঘোষণা করা হবে।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সাবেক স্পিকার ও পিটিআই নেতা আসাদ কায়সার বলেন, ইমরান খান বিক্ষোভ বন্ধ করতে না বলা পর্যন্ত পিটিআইয়ের রাজনৈতিক কমিটি বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, সরকার পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ছাড়া তাঁদের পরিবার ও দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। দেশজুড়ে হাজারো নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রাত পর্যন্ত গান্দারপুরের অবস্থান জানা যায়নি।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী পিটিআইয়ের কোনো সমাবেশে উপস্থিত হতে পারলেন না। এর আগে লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডির সমাবেশেও তিনি হাজির হতে পারেননি। শনিবার ইসলামাবাদে সমাবেশে যোগ না দিয়ে তিনি কেপি হাউসে যান। সেখানেই পুলিশ ও রেঞ্জাররা তাঁকে ঘিরে রাখেন। এ সময় তাঁকে গ্রেপ্তারের গুঞ্জন উঠলেও সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি বলেন, কাউকে ইসলামাবাদে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না। শক্ত হাতে বিক্ষোভ দমনে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে শনিবার অনেক নেতা-কর্মী গান্দারপুরের নেতৃত্বে ইসলামাবাদে ঢুকে পড়ে ডি-চকের কয়েক কিলোমিটার দূরে জড়ো হন। এর আগে শুক্রবার অনেক নেতা-কর্মী ডি-চকে ইমরান খানের জন্মদিন উদ্যাপন করেন।