লাহোরের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার প্রধান সন্দেহভাজন খাদিজা শাহকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন লাহোরের একটি সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালত। খাদিজার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করে দেখার জন্য তাঁকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। ৩০ মে পর্যন্ত তিনি কারাগারে থাকবেন।
আদালতে যাওয়ার আগে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পুলিশের ভ্যানের জন্য অপেক্ষা করেন এই পাকিস্তানি ফ্যাশন ডিজাইনার। পরে আদালতে হাজির করার সময় কালো ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছিলেন তিনি।
আদালতে তোলার পর খাদিজা শাহর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে তাঁকে কারাগারে রাখতে বিচারককে অনুরোধ করে পুলিশ। এ সময় খাদিজাকে তাঁর স্বামীর সঙ্গে আদালতকক্ষে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খাদিজাকে ৩০ মে আদালতে হাজির করতে বলেন বিচারক। গতকাল খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাঁকে একটি নারী পুলিশ স্টেশনে রাখা হয়েছিল।
আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৯ মে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইমরানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন পিটিআই সমর্থকেরা। একপর্যায়ে লাহোরের এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার বাসভবনে (জিন্নাহ হাউস নামে পরিচিত) হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা।
৯ মের হামলার ঘটনা নিয়ে গত রোববার একটি অডিও ফাঁস হয়। সেখানে খাদিজা শাহকে বলতে শোনা যায়, তিনি লাহোরে সেনা কর্মকর্তার বাসভবনের বাইরে পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। তবে মানুষকে উসকানি দেওয়া কিংবা কোনো ধরনের খারাপ কাজ করেননি বলে দাবি করেন তিনি।
খাদিজা শাহর বাবা সালমান শাহ পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের অর্থ বিভাগের একজন সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদারের উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
গত সপ্তাহে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকবি ঘোষণা দেন যে ৯ মে বিভিন্ন সামরিক স্থাপনার ওপর চালানো হামলার জন্য দায়ী নারীকে যেকোনো মূল্যে গ্রেপ্তার করা হবে।