পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার জন্য সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। আজ সোমবার তিনি বলেছেন, এ মাসের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিতে হবে। আর তা না হলে ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চ শুরু করবে তাঁর দল।
ইমরান খান গতকাল রোববার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সাতটি আসনের উপনির্বাচনে দাঁড়িয়ে ছয়টিতে জয় পেয়েছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি জিতেছিলেন পাঁচটি আসন। জাতীয় পরিষদের মোট আটটি আসনে উপনির্বাচন হয়। নির্বাচনের এক দিন পর ইসলামাবাদে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বললেন।
ইমরান খান একাই সাতটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে একটি আসন বাদে বাকি ছয়টিতে জয় পান তিনি। ওই আসনে পিপিপির হাকিম বালুচের কাছে হেরে যান ইমরান। আর মুলতানের আসনেও হেরে যায় ইমরানের দল। ওই আসনে পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যানের মেয়ে বানু কোরেশিকে প্রার্থী করা হয়েছিল।
সোমবারের ওই সংবাদ সম্মেলনে ইমরান খান বলেন, ‘শুধু দেশের মঙ্গলের কথা ভেবেই আমি তাদের (সরকার) কয়েক দিন সময় দিচ্ছি। আমি আবারও বলছি, নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার জন্য তাদের হাতে এখনো সময় আছে। তারা যদি এটা না করে, তাহলে আমি লংমার্চ শুরু করব এবং লংমার্চের প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্ন।’
পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজের (পিএমএল–এন) নেতা শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে নির্বাচন বিলম্বিত করার অভিযোগ তুলেছেন ইমরান খান। ইমরান তাঁর প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর উদ্দেশে বলেন, ‘প্রতিনিয়ত পিটিআইয়ের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় তিনি নির্বাচন দিতেও ভয় পাচ্ছেন।’