পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া ও পাঞ্জাবে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ে অন্তত ২৮ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি। গতকাল শনিবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য বলছে, পাখতুনখাওয়ার বান্নু, দেরা ইসমাইল খান, কারাক ও লাক্কি মারওয়াত এলাকায় ২৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এসব এলাকায় আহত হয়েছেন ১৪৫ জন। ভারী বৃষ্টিতে অন্তত ৬৯টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
খাইবার পাখতুনখাওয়ার অন্তর্বর্তীকালীন তথ্যমন্ত্রী ফিরোজ জামাল শাহ এক বিবৃতিতে বলেন, দুর্গত এলাকার হাসপাতালগুলোয় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।
অন্যদিকে পাঞ্জাবের সারগোধা, গুজরানওয়ালা, ফয়সালাবাদসহ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিসহ ঝোড়ো হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খুশব জেলার একটি গ্রামে একটি বাড়ির দেয়াল ধসে তিনজন মেয়ে মারা গেছে।
বজ্রসহ ভারী বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের (এজেকে) নাকিয়ান শহর ও এর আশপাশের এলাকায়।
প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ আজ রোববার জানায়, আরব সাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ আরও শক্তি সঞ্চয় করছে। এতে এটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমে পাকিস্তানের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে।