আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে শাহবাজ–ইমরান পাল্টাপাল্টি

ইমরান খান ও শাহবাজ শরিফ
ফাইল ছবি: রয়টার্স

আগাম নির্বাচনের দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান যে লংমার্চ শুরু করেছেন, তার তৃতীয় দিন ছিল রোববার। শান্তিপূর্ণভাবে এ দিনের লংমার্চ শেষ করেছেন ইমরান। তবে বাগ্‌যুদ্ধে জড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে। খবর দ্য ডন ও জিও নিউজ।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের দাবি, আলোচনায় বসার প্রস্তাব নিয়ে মাসখানেক আগে এক ব্যবসায়ী বন্ধুর মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ইমরান। কথা বলতে চেয়েছিলেন সেনাপ্রধানের নিয়োগ ও আগাম নির্বাচন নিয়ে। তবে তিনি সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন।

শনিবার লাহোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে শাহবাজ বলেন, ‘সেনাবাহিনীর প্রধান নিয়োগের দায়িত্ব সাংবিধানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর ওপর বর্তায়। আমি তাঁকে (ইমরান খানকে) জানিয়ে দিয়েছি, এই কাজ সংবিধান মেনেই করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের এমন দাবির কড়া সমালোচনা করেছেন ইমরান। রোববার মুরিদকে থেকে লংমার্চ শুরু করে দুপুরে সাধোকে পৌঁছে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে ইমরান বলেন, ‘আমি একজন বুট পলিশারের (শাহবাজ শরিফ) সঙ্গে কেন আলোচনায় বসব?’

সরকারকে সতর্ক করে ইমরান আরও বলেন, ‘ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডির দিকে জনসমুদ্র ধেয়ে আসছে। এটা সামলাতে প্রস্তুত থাকুন। জাতির উদ্দেশে একটা কথা বলতে চাই, আমাদের উদ্দেশ্য দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন করা।’

সরকার পাকিস্তানজুড়ে ‘ভয়ের রাজ্য’ প্রতিষ্ঠা করেছে বলে অভিযোগ করে ইমরান বলেন, ‘এখন দেশে সাংবাদিকেরাও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য অনেক সাংবাদিক বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।’ এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর উদ্দেশে ইমরান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকুন। চোরের সঙ্গ দেবেন না। চোরের দলকে সমর্থন দিলে জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না।’

পিটিআইয়ের লংমার্চ লাহোর ছাড়িয়ে ইসলামাবাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, সাত দিনের মধ্যে এই লংমার্চ রাজধানীতে পৌঁছাবে। পিটিআই জানিয়েছে, সরকার পতনের জন্য লংমার্চ করা হচ্ছে না। তাদের দাবি আগাম নির্বাচন। তবে শাহবাজ শরিফের সরকার জানিয়েছে, সংবিধান মেনেই পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।