পাকিস্তানের খাইবার জেলায় অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীদের গুলিতে এক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম খলিল জিবরান (৫০)। গতকাল বুধবার পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা এ কথা জানিয়েছেন।
২০০১ সালে সাংবাদিকতা পেশায় আসা এই সাংবাদিক পশতু ভাষার বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনে কাজ করেন। তিনি দুই দফায় লান্দি কোতাল প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিকতা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তিনি জনপ্রিয় ছিলেন।
পুলিশ ও পরিবার জানায়, গত মঙ্গলবার জেলার সুলতানখেল এলাকার মাজরিনা নামক স্থানে এক নৈশভোজে অংশ নিতে যান খলিল। অনুষ্ঠান শেষে কয়েকজন বন্ধু ও স্থানীয় এক আইনজীবীর সঙ্গে গাড়িতে করে ফিরছিলেন তিনি। গাড়িটি লান্দি কোতাল এলাকায় পৌঁছালে দুই বন্দুকধারী গাড়িটির গতি রোধ করে এবং খলিলকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নেয়। এ সময় অন্য আরোহীদের গাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলে বন্দুকধারী ব্যক্তিরা। তাঁদের ক্ষতি করবেন না বলেও জানায় তারা।
একপর্যায়ে বন্দুকধারীরা এই সাংবাদিককে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।
লান্দি কোতালে জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, খলিলের শরীরে ১৯টি গুলির ক্ষতচিহ্ন ছিল। তাঁর হাতও ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে খলিলের ধস্তাধস্তি হয়েছে।
এ ঘটনায় খলিলের সঙ্গে থাকা আইনজীবী সাজ্জাদ খানের হাতেও একটি গুলি লেগেছে। তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন এবং তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সাজ্জাদ জানান, খলিলকে যখন গুলি করা হচ্ছিল, তখন তিনি পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
স্থানীয় সাংবাদিকেরা জানান, সাংবাদিক খলিলের নিথর দেহ ঘণ্টাখানেক ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল। বন্দুকধারীদের হামলার আশঙ্কায় সেখানে দেরিতে পৌঁছায় পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারাও মরদেহের কাছে ঘেঁষতে ভয় পাচ্ছিলেন।
অবশ্য পুলিশ বলছে, খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
খলিলকে হত্যার দায় স্বীকার করেনি কোনো জঙ্গি সংগঠন।