পাকিস্তানের ফয়সালাবাদে কমপক্ষে পাঁচটি গির্জায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার ঘটনা ঘটেছে। ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গতকাল বুধবার জারানওয়ালা এলাকায় এ তাণ্ডব চালানো হয়েছে। কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
খ্রিষ্টধর্মীয় নেতা আকমল ভাট্টি জানিয়েছেন, একদল লোক কমপক্ষে পাঁচটি গির্জায় আগুন দিয়েছেন। আতঙ্কিত লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার পর সেগুলোয় লুটপাট চালানো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, মসজিদের মাইক থেকে এক ধর্মীয় নেতা সহিংসতায় উসকানি দেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, গির্জার ভবন থেকে ধোঁয়া উড়ছে। সেখান থেকে বের করে আনা আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বেশ কিছু লোক পার্শ্ববর্তী মহাসড়ক অবরোধ করেন।
জারানওয়ালার পাদরি ইমরান ভাট্টি বলেন, ইসা নগরি এলাকার চারটিসহ এসব গির্জায় তাণ্ডব চালানো হয়। তিনি আরও বলেন, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বাড়িও গুঁড়িয়ে দিয়েছেন সহিংস লোকজন।
এদিকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ একটি মামলা করেছে। পাঞ্জাব পুলিশের প্রধান উসমান আনোয়ার বলেন, বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ওই এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ওই এলাকায় সরু গলিতে ছোট দুটি থেকে তিনটি গির্জা রয়েছে। সেখানে একটি প্রধান গির্জাও অবস্থিত। বিক্ষোভকারীরা এসব গির্জার কিছু অংশ ভাঙচুর করেছেন।
কর্মকর্তারা বলেন, শান্তি কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। প্রদেশজুড়ে পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। তবে খ্রিষ্টধর্মীয় নেতাদের অভিযোগ, ঘটনার সময় নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল পুলিশ।
এক টুইটে (বর্তমানে এক্স) দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার বলেন, ‘ফয়সালাবাদের জারানওয়ালার চিত্র দেখে আমি হতবাক। যারা আইন লঙ্ঘন করবে এবং সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তু করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’