পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ৩৩টি আসনে আগামী মার্চে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। ৩৩টি আসনের সবগুলোতেই প্রার্থী হবেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রধান ইমরান খান। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মাহমুদ কুরেশি গতকাল রোববার রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা ৩৩টি আসনে উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর সবগুলো আসনে আমাদের দলের প্রার্থী হবেন ইমরান খান।’ ইমরান খানের সভাপতিত্বে দলের কেন্দ্রীয় ও পার্লামেন্টারি কমিটির যৌথ সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে পিটিআইয়ের নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছিলেন, আগামী উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে পিটিআই প্রধান সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আগামী ১৬ মার্চ জাতীয় পরিষদের ৩৩টি শূন্য আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে গত শুক্রবার ঘোষণা করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। পিটিআইয়ের সংসদ সদস্যদের গণপদত্যাগের ফলে এসব আসন শূন্য হয়। এখন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে ৯০ দিনের মধ্যে এসব আসনে উপনির্বাচন আয়োজন করা হচ্ছে।
গতকালের বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অচলাবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন পিটিআইয়ের নেতারা। এ ছাড়া বৈঠকে পিটিআইয়ের নেতা ও পাকিস্তানের সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ আহমেদ হুসাইন চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানানো হয়। এ বিষয়ে শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, ‘তিনি (ফাওয়াদ চৌধুরী) ন্যায়বিচার পাবেন এবং দ্রুত মুক্তি পাবেন বলে আমরা আশা করছি।’
গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতন হয়। এরপর মুসলিম লীগ নওয়াজের (এমএলএন) নেতা শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে পাকিস্তানে জোট সরকার গঠিত হয়। সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এই সরকার টিকে আছে।
শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলেছেন ইমরান খান। তিনি পাকিস্তানে আগাম নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন।