পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান আবার গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
গতকাল রোববার একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, তিনি কাল মঙ্গলবার ইসলামাবাদের একটি আদালতে হাজির হবেন। এ সময় তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
পিটিআইপ্রধান বলেন, ‘কাল আমি বিভিন্ন মামলায় জামিনের জন্য ইসলামাবাদের আদালতে হাজির হতে যাচ্ছি এবং আমাকে গ্রেপ্তার করার ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে।’
ইমরান খানের দাবি, পাকিস্তানের বর্তমান সরকার তাঁকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে এসব কাজ করছে। পাকিস্তানের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয় থেকে সরকার এগুলো করছে।
পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার উৎখাতের জন্য দেশটির সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে দোষারোপ করেন। ইমরান খান বলেন, বাজওয়া কেন এই কাজ করেছিলেন, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চলা গ্রেপ্তার অভিযানের কথা সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেন ইমরান খান। তিনি বলেন, তাঁর দলের ১০ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারাও আছেন।
এক দিন আগে গত শনিবার পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান বলেছিলেন, তাঁর দেশের জন্য ভালো হলে তিনি ‘মাইনাস ওয়ান ফর্মুলার’ জন্য প্রস্তুত আছেন।
দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ইমরান খান বলেছিলেন, ‘আমাকে বলুন, মাইনাস ওয়ান থেকে পাকিস্তানের কী লাভ? দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আমি নিজেকে মাঠ থেকে সরিয়ে নিতে রাজি থাকব।’
ইমরান খানকে ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। দেশটির জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরো (ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো-এনএবি) আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল। এই গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানজুড়ে সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল তাঁর দল পিটিআই। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ মে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খানের গ্রেপ্তার ‘বেআইনি’ ঘোষণা করেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। ১২ মে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানকে দুই সপ্তাহের জামিন দেন।