পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও তাঁর ছোট মেয়ে আসিফা ভুট্টো জারদারি
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও তাঁর ছোট মেয়ে আসিফা ভুট্টো জারদারি

পাকিস্তানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পার্লামেন্ট সদস্য হলেন জারদারির মেয়ে আসিফা

বাবা আসিফ আলী জারদারির ছেড়ে দেওয়া শহীদ বেনজিরাবাদ–১ আসনে (এনএ–২০৭) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন মেয়ে আসিফা ভুট্টো জারদারি। তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থী ছিলেন।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এই আসনটি ছেড়ে দিয়েছিলেন আসিফ আলী জারদারি। সেখান থেকে পাকিস্তানের আইনপ্রণেতা হলেন বেনজির ভুট্টা ও জারদারি দম্পতির ছোট মেয়ে আসিফা।

গতকাল শুক্রবার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এ আসনের উপনির্বাচনে ৩১ বছর বয়সী আসিফাকে চূড়ান্তভাবে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

জানা গেছে, উপনির্বাচনে মোট ১১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাতজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। আর তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তাই, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পার্লামেন্ট সদস্য হলেন আসিফা।

২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর মুলতানে প্রথমবারের মতো পিপিপির রাজনৈতিক সমাবেশ অংশ নেন আসিফা। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের আগে পিপিপির হয়ে প্রচারে সরব ছিলেন তিনি।

এমনকি নির্বাচনের পর পাকিস্তানে জোট সরকার গড়ার সম্ভাবনার আলোকে বড় ভাই বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী করতে সমর্থন দিয়েছিলেন আসিফা।
আসিফা নতুন করে আলোচনায় আসেন আসিফ আলী জারদারি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বাবার পাশে ছিলেন তিনি। গুঞ্জন ওঠে, পাকিস্তানের পরবর্তী ফার্স্টলেডি হতে যাচ্ছেন আসিফা। পরবর্তীতে এ–সংক্রান্ত ঘোষণাও আসে।

সচরাচর ফার্স্টলেডির দায়িত্ব সামলান প্রেসিডেন্টের স্ত্রী। কিন্তু জারদারির স্ত্রী ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো বেঁচে নেই। ২০০৭ সালে এক সমাবেশে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর আর বিয়ে করেননি জারদারি। তাই, মায়ের অবর্তমানে বাবার পাশে থেকে ফার্স্টলেডির দায়িত্ব পালন করছেন আসিফা।