পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদুল কাদিরকে মানহানির নোটিশ পাঠিয়েছেন ইমরান খান। আজ মঙ্গলবার পাঠানো নোটিশে পিটিআইপ্রধান এক হাজার কোটি পাকিস্তানি রুপি দাবি করেছেন।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরান খানের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে মানহানি হয়েছে দাবি করে এ নোটিশ দিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
গত সপ্তাহে পাকিস্তান সরকার ইমরান খানের স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার গোপন রিপোর্ট প্রকাশ করে। এ মাসের শুরুতে গ্রেপ্তার করার পর ইমরান খান পুলিশের হেফাজতে থাকার সময় এসব পরীক্ষা করা হয়। সরকারের দাবি, ইমরান খানের পা ভাঙার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ইমরান খানের প্রসাবের নমুনা পরীক্ষা করে মদ ও একটি অবৈধ মাদকের অস্তিত্বও পাওয়া গেছে।
করাচির সংবাদ সম্মেলনে ইমরানের স্বাস্থ্য নিয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদুল কাদির। সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়, ইমরানের ‘মানসিক সুস্থতা প্রশ্নসাপেক্ষ’।
এর প্রতিবাদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে মানহানির নোটিশ পাঠিয়েছেন ইমরান খান। নোটিশে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই দাবিকে, ‘ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বর্ণনা করে এর জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার আরও এক মামলায় জামিন পেয়েছেন ইমরান খান। আদালতে হাজির হয়ে মুচলেকা দেওয়ার পর সন্ত্রাসবিরোধী একটি আদালত ইমরানকে জামিন দেন। সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। ইমরান খান ৯ মে আদালত চত্বর থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর সমর্থকেরা সামরিক স্থাপনায় হামলা করেন। যদিও ইমরানের দাবি, যেদিনের ঘটনায় এ মামলা হয়েছে, সেদিন তিনি পুলিশ হেফাজতে ছিলেন।
এ ছাড়া আজ লাহোর হাইকোর্টে পৃথক তিনটি মামলায় মুচলেকা দিয়েছেন ইমরান খান। তাঁকে গ্রেপ্তারের জেরে দেশজুড়ে সহিংসতার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে লাহোরের বিভিন্ন থানায় এই মামলা তিনটি করা হয়। ১৯ মে এ তিন মামলায় ইমরান খানকে গ্রেপ্তারপূর্ব জামিন দেন আদালত।