আদালত অবমাননার একটি মামলায় ক্ষমা চেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আজ বৃহস্পতিবার ইমরান খান আদালতের কাছে ক্ষমা চান বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। ইমরান খান একই সঙ্গে বলেছেন, আদালত অবমাননার উদ্দেশে তিনি কিছু বলেননি। ভবিষ্যতে এ রকম কখনো হবে না।
ইমরানের আইনজীবী ফয়সাল চৌধুরী বলেছেন, আদালত ইমরান খানের নামে আদালত অবমাননার অভিযোগে করা মামলা মুলতবি করেছেন। তিনি আরও জানান, আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে একটি লিখিত আবেদনে আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে সেটি জমা দিতে ইমরান খানকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত মাসে ইমরান খানের দেওয়া একটি বক্তৃতা নিয়ে এ মামলা করা হয়েছিল। ওই বক্তৃতায় ইমরান খান পুলিশ ও বিচারিক কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা মামলায় নিজের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর জামিন মঞ্জুর না করায় ইমরান খান এমন হুমকি দিয়েছিলেন।
ইমরান খানের আইনজীবী ফয়সাল চৌধুরী বলেছেন, ইমরান খানের ক্ষমা চাওয়ার প্রশংসা করেছেন আদালত। ক্ষমা চাওয়ার পর বেশির ভাগ অভিযোগ খারিজ হয়ে যাবে বলে দাবি করেন তিনি। ইমরান খানের ক্ষমা চাওয়া নিয়ে আদালত তাঁর রায়ের একটি লিখিত নথি প্রকাশ করবেন বলেও জানান ফয়সাল চৌধুরী।
আইনজীবী ফয়সাল চৌধুরী আরও বলেন, আদালতের দেওয়া সময়ের মধ্যেই নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে একটি আবেদন প্রস্তুত করে সেটা আদালতে দাখিল করা হবে।
আদালত অবমাননার অভিযোগে ইমরান খানকে অভিযুক্ত করার কথা ছিল হাইকোর্টের। এটি এমন একটি পদক্ষেপ, যেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে ইমরান খানকে রাজনীতি করা থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দিতেন আদালত। পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত রাজনীতিককে অন্তত পাঁচ বছর নিষিদ্ধ করা হয়।
এর আগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলা তুলে নিতে ১৯ সেপ্টেম্বর আদেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের হাইকোর্ট। পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং বিচার বিভাগের এক নারী সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে মন্তব্য করার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ইমরানের নামে ২০ আগস্ট এ মামলা হয়