পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

তারবার্তা মামলায় ইমরানের গোপন বিচারে বাধা নেই

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দায়ের করা কূটনৈতিক তারবার্তা (সাইফার) ফাঁসের মামলার গোপন শুনানির ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাক্ষীদের বক্তব্য নতুন করে রেকর্ড করার আশ্বাস দিলে বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেন।

এ মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফআইএ) দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, নিজের কাছে থাকা একটি কূটনৈতিক তারবার্তা ফেরত দেননি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, ওই তারবার্তায় ইমরানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির বিষয়টি উল্লেখ ছিল।

গত মাসে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব ইমরানের পাশাপাশি তাঁর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতে চলা এ মামলার বিচারকাজের ওপর ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন। আদেশে তিনি বলেছিলেন, মামলাটিতে ‘আইনি ত্রুটি’ রয়েছে।

ইমরান খান বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন। সেখানেই বিশেষ আদালত বসিয়ে তারাবার্তা ফাঁস মামলার কার্যক্রম চলছিল। তবে অভিযোগ গঠন এবং বিচারকাজ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশে সংবাদমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করেন ইমরান। এরপর আদালত এ স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।

গত ১৩ ডিসেম্বর ইমরান ও কুরেশিকে দ্বিতীয়বারের মতো অভিযুক্ত করা হয়। এরপর অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে গত মাসে আদিয়ালা কারাগারে নতুন করে মামলার কার্যক্রম শুরু করেন বিশেষ আদালত।

২০২২ সালের এপ্রিলে জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয় ইমরান খানকে। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়। সেনা সদর দপ্তরে হামলাসহ ৯ মের সহিংসতার ঘটনায় মঙ্গলবার নতুন করে তাঁকে কমপক্ষে ১২টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।