পাকিস্তানে আজ বৃহস্পতিবারের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান কারাগার থেকেই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছেন। তবে তাঁর কারাবন্দী স্ত্রী বুশরা বিবি ভোট দিতে পারছেন না।
ইমরান এখন রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। সেখান থেকেই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছেন তিনি।
একই উপায়ে ভোট দিয়েছেন ইমরানের দল পিটিআইসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কারাবন্দী নেতারা। তাঁদের মধ্যে আছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহি, আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রধান শেখ রশিদ ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরী।
ইমরান খানের কারাবন্দী স্ত্রী বুশরা বিবি ভোট দিতে পারছেন না। তিনি এখন ইসলামাবাদের বাড়িতে বন্দী আছেন। ওই বাড়িকে সাব-কারাগার ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া পেরিয়ে যাওয়ার পর অভিযুক্ত ও গ্রেপ্তার হয়েছেন বুশরা। তাই এভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই তাঁর।
পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খানের অনুপস্থিতি। একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ইমরান কারাগারে বন্দী আছেন। দলীয় প্রতীকে ভোট করতে পারছে না ইমরানের দল পিটিআই।
এবারের নির্বাচনে এগিয়ে আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজলের (জেইউআই-এফ) নির্দিষ্ট ভোটব্যাংক রয়েছে। করাচিতে জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলেও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।